রীনা এমন একজন যাকে আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারি, নির্ভর করতে পারি: আমির খান

TV9 Bangla Digital | Edited By: শুভঙ্কর চক্রবর্তী

Jun 15, 2021 | 1:51 PM

২০ বছরে পা দিল 'লগান'। এখনও আমির অবাক হন প্রাক্তন স্ত্রীয়ের কথা ভেবে। “এটি আমার জীবনে সবসময় মনে থাকবে। আমরা বাকিরা আশুতোষ-আমি যেমন ফিল্মের লোক। কিন্তু ও ফিল্ম জগতে ছিল না। ওর গোটা প্রোজেক্টে কাজ করা এবং বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই উল্লেখযোগ্য। সুতরাং এটি আমার কাছে 'লগান'-এর অন্যতম বড় স্মৃতি!

Follow Us

কুড়ি বছর আগের এক ফিল্ম। কিন্তু আজও সে ছবি গেঁথে রয়েছে দর্শকদের মনে। ছবির গল্প, নস্টালজিয়া, প্লট প্রত্যেকটি বিষয়ে যেন কোনও খামতি নেই। ‘লগান’ তার অমিতব্যয়ী বাজেট, ছটি গান এবং একটি রোমান্টিক সাবপ্লটে নির্মিত এক বিরাট সিনেমা। ব্রিটিশের দ্বারা নিপীড়িত মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠল ১১জন গ্রামবাসী। ‘ভূবন’ আমিরকে প্রশ্ন করা হয় ‘লাগান’ এর কোন অংশটি তাঁর সঙ্গে দুই দশক পরেও গেঁথে করেছে? তিনি বলেন, “আসলে এটি শুধুমাত্র একটি জিনিস নয়,‘ লগান ’সম্পর্কিত প্রায় সব কিছুই আমার স্মৃতিতে রয়ে গেছে। আমার পক্ষে একটি জিনিস বাছাই করা খুব কঠিন।”

অনেক চিন্তাভাবনার পরে, অভিনেতা তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রীনা দত্তের প্রচেষ্টাকে ছবিটি উত্সর্গ করে বলেন, “আমার কাছে একটা জিনিস রয়ে গেছে…আমার প্রাক্তন স্ত্রী রীনা যে ভাবে ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন ‘লগান’ প্রযোজক এবং এমন একজন যাঁর তখন সিনেমা সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। যদিও তিনি ততদিনে আমার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে ফেলেছিলেন, তবুও ফিল্মের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল না। তিনি ফিল্মমেকিং সম্পর্কে কিছুই জানেন না।”

 

 

কীভাবে স্ত্রী রীনাকে ‘লগান’-এর প্রযোজনায় রাজি করালেন আমির? সে বিষয়ে অভিনেতা বলেন, “আমি ওকে এক রাতে অনুরোধ করে বললাম, একটা ফিল্ম প্রযোজনা করছি, তোমার সাহায্যের দরকার, ও বলেছিল, ফিল্ম সম্পর্কে আমি কিছু জানি না, আমি তোমাকে কী সাহায্য করব? তবে আমি চাইছিলাম ও শিখুক কারণ ও এমন একজন যাকে আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারি এবং নির্ভর করতে পারি। ও স্পোর্টিং, বলল, আচ্ছা আমি শিখব।“

রেনা দত্ত একজন উৎসাহী প্রযোজক ছিলেন এবং ফিল্মমেকিংয়ের যাবতীয় প্রক্রিয়া খুব কাছ থেকে অধ্যয়নও করেন। “ও সুভাষ ঘাই, মনমোহন শেট্টির সঙ্গে দেখা করে। ওদের একটা ল্যাব ছিল ও নেগেটিভ, প্রসেসিং, প্রিন্টিং শিখল। ও ফিল্মমেকিং বোঝার জন্য প্রযোজক, পরিচালক এবং টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে দেখা করল। আমি ওকে বলেছিলাম, ‘আমি তোমাকে কিছু বলব না, তুমি নিজে শিখবে’। এবং শেষমেশ একজন অভিজ্ঞ প্রযোজকের মতো ফিল্ম প্রযোজনা করল।”

এখানেই থামেননি আমির, বলেন, “এটি আমার জীবনে সবসময় মনে থাকবে। আমরা বাকিরা আশুতোষ-আমি যেমন ফিল্মের লোক। কিন্তু ও ফিল্ম জগতে ছিল না। ওর গোটা প্রোজেক্টে কাজ করা এবং বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই উল্লেখযোগ্য। সুতরাং এটি আমার কাছে ‘লগান’-এর অন্যতম বড় স্মৃতি! ও কীভাবে এটা করল তা ভেবে আমি এখনও অবাক হই,”

আরও পড়ুন লগান’-এর কুড়ি বছর পার, রঘুবীর যাদব হাঁটলেন ডাউন মেমরি লেনে

কুড়ি বছর আগের এক ফিল্ম। কিন্তু আজও সে ছবি গেঁথে রয়েছে দর্শকদের মনে। ছবির গল্প, নস্টালজিয়া, প্লট প্রত্যেকটি বিষয়ে যেন কোনও খামতি নেই। ‘লগান’ তার অমিতব্যয়ী বাজেট, ছটি গান এবং একটি রোমান্টিক সাবপ্লটে নির্মিত এক বিরাট সিনেমা। ব্রিটিশের দ্বারা নিপীড়িত মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠল ১১জন গ্রামবাসী। ‘ভূবন’ আমিরকে প্রশ্ন করা হয় ‘লাগান’ এর কোন অংশটি তাঁর সঙ্গে দুই দশক পরেও গেঁথে করেছে? তিনি বলেন, “আসলে এটি শুধুমাত্র একটি জিনিস নয়,‘ লগান ’সম্পর্কিত প্রায় সব কিছুই আমার স্মৃতিতে রয়ে গেছে। আমার পক্ষে একটি জিনিস বাছাই করা খুব কঠিন।”

অনেক চিন্তাভাবনার পরে, অভিনেতা তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রীনা দত্তের প্রচেষ্টাকে ছবিটি উত্সর্গ করে বলেন, “আমার কাছে একটা জিনিস রয়ে গেছে…আমার প্রাক্তন স্ত্রী রীনা যে ভাবে ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন ‘লগান’ প্রযোজক এবং এমন একজন যাঁর তখন সিনেমা সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। যদিও তিনি ততদিনে আমার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে ফেলেছিলেন, তবুও ফিল্মের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল না। তিনি ফিল্মমেকিং সম্পর্কে কিছুই জানেন না।”

 

 

কীভাবে স্ত্রী রীনাকে ‘লগান’-এর প্রযোজনায় রাজি করালেন আমির? সে বিষয়ে অভিনেতা বলেন, “আমি ওকে এক রাতে অনুরোধ করে বললাম, একটা ফিল্ম প্রযোজনা করছি, তোমার সাহায্যের দরকার, ও বলেছিল, ফিল্ম সম্পর্কে আমি কিছু জানি না, আমি তোমাকে কী সাহায্য করব? তবে আমি চাইছিলাম ও শিখুক কারণ ও এমন একজন যাকে আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারি এবং নির্ভর করতে পারি। ও স্পোর্টিং, বলল, আচ্ছা আমি শিখব।“

রেনা দত্ত একজন উৎসাহী প্রযোজক ছিলেন এবং ফিল্মমেকিংয়ের যাবতীয় প্রক্রিয়া খুব কাছ থেকে অধ্যয়নও করেন। “ও সুভাষ ঘাই, মনমোহন শেট্টির সঙ্গে দেখা করে। ওদের একটা ল্যাব ছিল ও নেগেটিভ, প্রসেসিং, প্রিন্টিং শিখল। ও ফিল্মমেকিং বোঝার জন্য প্রযোজক, পরিচালক এবং টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে দেখা করল। আমি ওকে বলেছিলাম, ‘আমি তোমাকে কিছু বলব না, তুমি নিজে শিখবে’। এবং শেষমেশ একজন অভিজ্ঞ প্রযোজকের মতো ফিল্ম প্রযোজনা করল।”

এখানেই থামেননি আমির, বলেন, “এটি আমার জীবনে সবসময় মনে থাকবে। আমরা বাকিরা আশুতোষ-আমি যেমন ফিল্মের লোক। কিন্তু ও ফিল্ম জগতে ছিল না। ওর গোটা প্রোজেক্টে কাজ করা এবং বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই উল্লেখযোগ্য। সুতরাং এটি আমার কাছে ‘লগান’-এর অন্যতম বড় স্মৃতি! ও কীভাবে এটা করল তা ভেবে আমি এখনও অবাক হই,”

আরও পড়ুন লগান’-এর কুড়ি বছর পার, রঘুবীর যাদব হাঁটলেন ডাউন মেমরি লেনে

Next Article