আবারও হুমকি চিঠি পেল খান পরিবার। পঞ্জাবী গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর দিন কয়েক পরেই সেলিম খান ও ছেলে সলমন খানকে দেওয়া হল প্রাণনাশের হুমকি, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে এমনটাই। নেপথ্যে কি আবারও কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই লরেন্স যিনি এর আগেও সলমনকে মারার ছক কষেছিলেন? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না মুম্বই পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রতিদিন সকাল বেলা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে ভ্রমণে যান সেলিম খান। বান্দ্রা ব্যান্ড স্ট্যান্ড্র একটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিদিন তিনি বিশ্রাম করেন। রবিবারও তার অন্যথা হয়নি। যে বেঞ্চে তিনি প্রতিদিন বসে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নেন তার তলা থেকেই রবিবার সকাল আটটা নাগাদ একটি চিরকুট উদ্ধার হয়। তাতে লেখা ছিল ‘মুসেওয়ালা জ্যায়সা কর দুঙ্গা’। অর্থাৎ মুসেওয়ালার মতো অবস্থা হবে। ইতিমধ্যেই বান্দ্রা থানায় এক এফআইআর দাখিল করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে খান পরিবারের নিরাপত্তাও। পুলিশও শুরু করেছে তদন্ত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও।
প্রসঙ্গত, সলমনকে মারার ছক কষে লরেন্স এখন তিহার জেলে বন্দি। তবে জেলে থেকেই সিধুকে খুনের চক্রান্ত করেছে সে, নিজ মুখেই এই কথা স্বীকার করেছে ওই গ্যাংস্টার। এই মুহূর্তে সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে। ২০১৮ সাল। লরেন্সের ঘনিষ্ঠ সম্পত নেহরা পুলিশের জালে বন্দি হন ওই বছরই। সেখানেই জেরার মুখে অভিযুক্ত দাবি করেন সলমন খানকে হত্যার ছক কষেছিল তারা। আর এই গোটা পরিকল্পনার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল লরেন্সই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল কৃষ্ণসার হত্যার জন্যই সলমনকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং। লরেন্স জাঠ। আর তাদের সম্প্রদায়ে কৃষ্ণসার পবিত্র। সেই কারণেই লরেন্সের আক্রোশ জন্মেছিল সুপারস্টারের উপর। যদিও সম্পত ধরা পড়ায় সে যাত্রায় ভেস্তে যায় প্ল্যান। এই মুহূর্তে এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদেশে সলমন। সুপারস্টারের উপর যাতে কোনও হামলা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় মুম্বই পুলিশ।