সত্যি কি তবে মনের কোণে জমে থাকা দুঃখ, অপমান, কষ্টের অবসান ঘটল! দীর্ঘ ২০ বছরের জমে থাকা নানা অভিমানেরা বিদায় নিল সলমন-ঐশ্বর্যের সম্পর্কের মধ্যে থেকে! সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক ভিডিয়ো ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। মুহূর্তে সকলের মনে ঝড় তুলল সলমনের এক আচরণ। ভরা অনুষ্ঠানের মাঝে সামনের চেয়ারে বসে রয়েছেন কিয়ারা আডবাণী। সামনে দিয়ে এগিয়ে আসছেন সলমন খান। সকলের সঙ্গে দেখা করে নিলেন তিনি। এরপরই সামনে এলেন ঐশ্বর্যের। মুখে হাসি। হাত মিলিয়ে নিলেন প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে।
ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিয়ো। যা দেখা মাত্রই সকলেই কমেন্ট বক্সে শুভেচ্ছার বন্যা বইয়ে দিলেন। তবে এই ভিডিয়ো কি আদেও সত্যি! না, সম্প্রতি এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ঐশ্বর্য ও সলমনের মনের কোণে জমে থাকা অভিমান মিটিয়ে তাঁদের কাছাকাছি দেখতে ইচ্ছু ভক্তই বানিয়ে ফেললেন এক ভক্ত। ফ্যান পেজ থেকে সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়ল ঝড়ের গতিতে।
এই ফেক ভিডিয়ো ঘিরেই জল্পনা তুঙ্গে। তবে ভবিষ্যতে কি সত্যিই এমন দিন আসতে পারে! এই প্রসঙ্গে একবার সলমন খান খোদ জানিয়েছিলেন, কাজের প্রয়োজন হলে নিশ্চয় তাঁরা এক সঙ্গে আসতে পারেন। যদিও ঐশ্বর্যের তরফ থেকে হ্যাঁ পাওয়াটা বেজায় কঠিন। কারণ একটাই। তিনি প্রথম থেকেই বারে বারে জানিয়েছিলেন, সলমনের সঙ্গে এই সম্পর্কে ঠিক কতটা যন্ত্রণার মুখোমুখী হতে হয়েছিল তাঁদের। যার ফলে ঐশ্বর্যের কথায়, তাঁর একটা সময় কেরিয়ার বড় ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছিল সলমন খানের জন্যই। হাত থেকে একের পর এক ছবির কাজ চলে যেতে থাকে।
ফলে একটা সময়ের পর রীতিমত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ঐশ্বর্যকে। অন্যদিকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সলমন খান। তিনিও বারে বারে ফিরে পেতে চেয়েছিলেন ঐশ্বর্যকে। গভীর রাতে বিবেক ওবেরয়কে হুমকিও দিয়েছিলেন এই মর্মে। যদিও আজ তা অতীত।