স্কুলে কুস্তি করতে গিয়ে চোখে অন্ধকার দেখেছিলেন অমিতাভ বচ্চন , নাক ফেটে রক্ত বেরিয়েছিল তার। আর তারপর বাড়িতে এসে বাবার কাছ থেকে এক আশ্চর্য উপহার পেয়েছিলেন তিনি। নিজের ব্লগে স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এক মজার ঘটনার কথা বলেন তিনি। এক বক্সিং ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে তার বাবার স্মৃতিও। বাবার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল তার?
তখন এলাহাবাদ বয়েজ হাইস্কুলে পড়েন বচ্চন। ক্লাস ফাইভ। তার বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন তখন পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে। সেই বছরই স্কুলে আয়োজিত হয় একটি বক্সিং প্রতিযোগিতা যেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন অমিতাভ। আর তাতেই বিপত্তি। নিজের হাউজকে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে প্রথম রাউন্ডে জিতলেও কঠিন প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়াতে না পেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে চোখে অন্ধকার দেখেন তিনি, প্রতিপক্ষের ঘুষিতে নাক ফেটে রক্ত বেরিয়ে যায় তাঁর। আর এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই ডাকযোগে একটি পার্সেল আসে তার কাছে। বাবা পাঠিয়েছেন। খুলে দেখেন তাতে একটি বই। বক্সিং সংক্রান্ত বই আর তার প্রথম পাতায় বাবার স্বাক্ষর করা। আরও ভালো করে লক্ষ্য করে বচ্চন দেখেন সেই পাতাতেই তার জন্য একটি লাইন লেখা আছে, ‘গুড হার্ড ব্লোজ আর ডিলাইটস টু দ্য মাইন্ড’। অর্থাৎ মাঝে মাঝে কঠিন আঘাতও মনকে আনন্দ দেয় যদি তা প্রকৃতই ভালো উদ্দেশ্যে হয়।
আর এই ঘটনা পরে ইংল্যান্ডে শুটিং করতে গিয়ে বাবার কলেজ অর্থাৎ সেন্ট ক্যাথারিন কলেজের ফ্যাকাল্টি সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করলে তারা যারপরনাই আহ্লাদিত হয়েছিলেন। পুরো সভা হেসে উঠেছিল সমস্বরে। আর অমনভাবে কোনও ব্রিটিশকে বচ্চন কখনও হাসতে দেখেননি। ব্লগে তিনি লেখেন, ‘আসলে যে কোনও লড়াইয়ের গল্প ব্রিটিশরা মাছ, নদী এসবের গল্পের থেকে বেশি পছন্দ করে, বেশি আকৃষ্ট হয়।’ আর তার নিজের এই বক্সিংয়ের গল্পও তারা ঠিক ততটাই মনোযোগ সহকারে শুনেছিলেন বলেই জানান অমিতাভ।
বর্তমানে নাগ অশ্বিনের পরিচালনায় ‘প্রজেক্ট কে’ ছবিতে অভিনয় করছেন অমিতাভ বচ্চন, তার সঙ্গে এই ছবিতে দেখা যাবে প্রভাস এবং দীপিকা পাড়ুকোনকেও। এই ছবির শুটিং চলাকালীনই একটি অ্যাকশন দৃশ্যের সময় গুরুতরভাবে পাঁজরে চোট পান তিনি। যদিও এখন অনেকটাই সুস্থ বচ্চন, পুরোদমে চলছে শুটিংয়ের কাজ। এছাড়া ঋভু দাশগুপ্তের পরিচালনায় ‘সেকশন ৮৪’ ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যাবে বিগ বিকে।