নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর নির্দেশ অনুযায়ী সাপ্তাহিক হাজিরা দিতে এনসিবি দফতরে গিয়েছিলেন আরবাজ মার্চেন্ট। সঙ্গে ছিলেন বাবা আসলাম মার্চেন্ট। বেরিয়ে আসার সময়েই হল বিপত্তি। বাবার ‘কাণ্ডে’ রীতিমতো অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে পড়তে হল ছেলেকে।
আরবাজের বাবা নিজেও একজন আইনজীবী। ছেলের হাজিরা দেওয়ার দিনে তিনিও ছিলেন তাঁর সঙ্গী। বেরিয়ে আসার সময়েই পাপারাৎজি ঘিরে ধরে তাঁকে। এত ক্যামেরা দেখে হাসিমুখে পোজ দিতে শুরু করেন আসলাম। ছেলে বের হচ্ছিলেন মুখ ঢেকে। বাবা প্রায় জোর করেই ছেলেকে পাপারাৎজির ক্যামেরার সামনে ‘পোজ’ দেওয়ার অনুরোধ করতে থাকেন। বেকায়দায় পড়ে যান ছেলে আরবাজ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এসব বন্ধ করো বাবা’। ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বাবার হাসি হাসি মুখ ও ছেলের বিরক্তির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তৈরি হচ্ছে নতুন মিমও। অনেকেই আসলামের নতুন নাম দিয়েছেন ‘টিপিকাল ভারতীয় বাবা’। আর এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আহা ছেলে যেন বিশ্বজয় করে এসেছে’।
অক্টোবরের মাঝামাঝি কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামে এক প্রমোদতরীতে তিনদিনের একটি মিউজিক্যাল সফরের আয়োজন করা হয়েছিল। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের তাবড় ব্যক্তিত্ব এই সফরে সঙ্গী হন। ক্রে’আর্ক শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ফ্যাশনটিভি ইন্ডিয়া। ৪ অক্টোবর তা গোয়া ঘুরে ফের মুম্বইতে ফেরত আসার কথা ছিল। এদিকে এই প্রমোদতরণী নিয়ে এনসিবির কাছে আগাম ড্রাগ-মজুতের খবর যায়। সেই ড্রাগ যে এই প্রমোদ-সফরের বড় অংশ হতে চলেছে তাও জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
এরপরই একেবারে বলিউডি কায়দা সেই তরণীতে ওঠেন বেশ কয়েকজন এনসিবি কর্তা। কর্ডেলিয়া ক্রুজে তল্লাশি চালাতেই তাঁদের কাছে উঠে আসে একের পর এক মাদকের খোঁজ। কোকেন, এমডিএমএ, এক্সটেসি বাদ ছিল না কিছুইমাদক রাখার প্রমাণ পাওয়ায় আটজনকে আটক করা হয়। সেখানে ছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানও। ছিলেন আরবাজও। এই মুহূর্তে তাঁরা জামিনে মুক্ত। কিন্তু এনসিবির নজর রয়েছে তাঁদের উপর।
What a Dad ?? Arbaaz Merchant (Aryan Khans friend) Dad who is an advocate, asks him to pose with him for photographers outside NCB office ?♀️? pic.twitter.com/inNZIwSdE4
— Rosy (@rose_k01) November 26, 2021