রাকেশ ওম প্রকাশ মেহরা পরিচালিত কালজয়ী ছবির নাম ‘রং দে বসন্তী’। সেই ছবি থেকে সরে আসতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছিলেন অর্জুন রামপাল। ছবিতে অভিনয় করলে কেরিয়ার আরও অন্যরকম হতে পারত অর্জুনের। এক বিদেশিনী চলচ্চিত্র নির্মাতা ভারতে আসে ভগৎ সিংকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করবে বলে। কলেজে গিয়ে অডিশন নিতে শুরু করে। শেষমেশ অভিনেতা পাওয়া যায়। এদিকে দেশের রাজনৈতিক অবক্ষয় দেখে সত্যি-সত্যি দেশের মোড় ঘোরানো কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে তারা। এটাই ছিল ‘রং দে বসন্তী’র গল্প। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আমির খান, আর মাধবন, শরমন যোশী, সিদ্ধার্থ, সোহা আলি খান, কুণাল কাপুর, অ্যালিস প্যাটেনের মতো তারকা অভিনেতারা। করণ আর সিংঘানিয়া, যে চরিত্রে সিদ্ধার্থ অভিনয় করেছিলেন, সেটির প্রস্তাব গিয়েছিল অর্জুনের কাছে। ডেট বুক হয়ে যায়, সই করে ফেলেন কনট্র্যাক্ট পেপারে। কিন্তু পরবর্তীতে পরিচালকের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে সরে আসেন অর্জুন।
কফি উইথ করণের একটি পুরনো এপিসোডে অর্জুন বলেছিলেন, “পরিচালক রাকেশ ওম প্রকাশ মেহরার সঙ্গে আমার সমস্যা হয়েছিল ‘রং দে বসন্তী’ করার সময়। ছবির জন্য সই করে ফেলেছিলাম। ডেটও বুক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টা সংশয়পূর্ণ হয়ে যায়। পরিচালক নিজেই খুব দ্বিধান্বিত ছিলেন। শুরুতে খুব যন্ত্রণা হত। কিন্তু এখন মনে হয়, আমার সঙ্গে তিনি কাজ করেননি ভালই হয়েছে। কারণ, ছবির চিত্রনাট্য নিয়েও দ্বিধা ছিল রাকেশের। খুব বিরক্ত হয়ে থাকতেন। আমি যে ওঁর ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করছি, সেটাও গুলিয়ে ফেলেছিলেন। এরকম পরিস্থিতে কীভাবে আমি কাজ করতাম বলুন। করা সম্ভব…”
‘রং দে বসন্তী’র জন্য আমার তিনমাসের ডেট বুক করা ছিল। সবটাই জলে গিয়েছিল। অর্জুন বলেছিলেন, “এটা একজন অভিনেতার সঙ্গে ঘটে যাওয়া চূড়ান্ত অপেশাদার মনোভাব। খুব দুঃখজনকও। কাজের দিক থেকে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। যে কাজগুলো আমার করার কথা ছিল সেগুলো আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই কারণেই। এতদিন পর এই কথাগুলো ধরে আমি আর বসে নেই। মনে করি, যা হয়েছে ভালর জন্যই হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে আমার কোনও ক্ষোভও নেই।”