প্রতিটা কাজ শিল্পী মনে এক বিশেষ ছাপ ফেলে যায়। প্রতিটা কাজ শিল্পীদের ভেঙে গড়তে শেখায়। আর যখন পর্দার সামনে এক একটি চরিত্র হয়ে উঠতে হয় অভিনেতাদের, পর্দার আড়ালে তখন তাঁদের জীবন দর্শণে বেশ কিছুটা পরিবর্তন আসে। অভিনেতা গোবিন্দ নামদেবের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটে। হিন্দি ছবি থেকে শুরু করে টিভির পর্দায় ভিলেনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয় গোবিন্দ নামদেব। তিনি এবার এমনই এক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। বলেছেন যে, পর্দায় একজন অপরাধী চরিত্রে অভিনয় করা তাঁর ব্যক্তিত্বকে পাল্টে দিয়েছে। গোবিন্দ ১৯৯২ সালে ডেভিড ধাওয়ানের শোলা অর শবনম-এ একজন অসৎ পুলিশের চরিত্রে অভিনয় দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তিনি বলিউডের একজন জনপ্রিয় খলনায়ক হিসেবে পরিচিত হন।
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে, গোবিন্দ বলেছেন, যে খারাপ চরিত্রে অভিনয়, যখন তিনি একটি ধর্ষণ বা খুনের অপরাধী হয়ে কাজ করেছেন পর্দায়, তা তাঁকে তাঁর পরিবারের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। কারণ তাঁর চরিত্রগুলির নিষ্ঠুরতা তাঁকে জাগিয়ে তোলে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করার পরে তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর বাচ্চাদের আরও বেশি ভালবাসতে শুরু করেছিলেন।
সম্প্রতি ইটাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি পর্দায় যত বেশি ধর্ষণ করেছি, খুন করেছি, পর্দায় খারাপ ব্যবহার করেছি, ততই আমি আমার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছি। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় আমাকে পজিটিভে বদলে দিয়েছে। সিনেমায় আসার আগে আমি আলাদা মানুষ ছিলাম। আমি আজ যে মানুষটি, সে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
গোবিন্দ আরও বলেন, “যখনই আমি খুব নেগেটিভ দৃশ্য, যেমন কাউকে খুন করা, বা কাউকে ধর্ষণ করায় পাঠ করি, আমি আমার স্ত্রী এবং বাচ্চাদের আগের থেকেও বেশি বাসতে শুরু করি। অভিনেতা আরও জানান, যে তাঁর অন-স্ক্রিন ভূমিকাগুলি তাঁর পারিপার্শ্বিকে থাকা অনেককেই ভীষণভাবে অস্বস্তিতে যাতে না ফেলে, সেই ভরসাটা তিনি দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন।