গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি ২০১৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের মামলায় সলমন খানকে (Salman Khan) হত্যা করতে ৪ লক্ষ টাকায় একটি আরকে স্প্রিং রাইফেল কিনেছিলেন। গ্যাংস্টার পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর দলের একজন সদস্য নাম সম্পত নেহরাকে পাঠিয়েছিলেন ২০১৮ সালে সলমনকে গুলি করার জন্য। তিনি আরও জানিয়েছেন যে সম্পত সুপারস্টারকে গুলি করতে পারেনি, কারণ তাঁর কাছে একটা পিস্তল ছিল। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এসেছে। সেই রিপোর্টে আরও যোগ করা হয়েছে যে বিষ্ণোই তখন দীনেশ ডাগর নামে সম্পতের গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকায় একটি আরকে স্প্রিং রাইফেল কিনেছিলেন। ডাগরের সহযোগী অনিল পান্ডেকে এর জন্য অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পরে ডাগরের কাছ থেকে রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল যেখানে গ্যাংস্টার দাবি করেছিলেন যে তাঁর সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য সলমন খানকে কখনই ক্ষমা করবে না। তিনি আরও যোগ করেছিলেন যে তিনি শুধুমাত্র তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন যদি সলমন এবং তাঁর বাবা সেলিম খান প্রকাশ্যে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চান। জিজ্ঞাসাবাদের সময় লরেন্স জানিয়েছিলেন যে যেহেতু বিষ্ণোইরা কৃষ্ণসার হরিণকে তাঁদের ধর্মীয় গুরুর পুনর্জন্ম বলে মনে করে, তাই ভগবান ‘জম্বেশ্বর’, যা জামবাজি নামেও পরিচিত, তাই আদালত থেকে মুক্তি বা শাস্তি তাঁর জন্য শেষ রায় হবে না।
কুখ্যাত গ্যাংস্টার সলমন, তাঁর বাবা সেলিম খান, এমনকি তাঁদের আইনজীবী হস্তিমাল সারস্বতকেও হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পাঞ্জাবি গায়ক-র্যাপার সিধু মুজওয়ালা খুনের ঘটনায় বর্তমানে বিষ্ণোইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর সেখান থেকেই উঠে আসছে তাঁর যাবতীয় কর্মকাণ্ডের খবর।
১৯৯৮ সালে সুরয বরজাতিয়ার ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন রাজস্থানের যোধপুরে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। এই কেসে সলমন খানের সঙ্গে সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও তাব্বু-র নামও জড়িয়ে ছিল। এই ঘটনার পর তাঁদের বিরুদ্ধে সংবিধানের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা এখনও আদালতে মামলা চলছে। এই কয়েক বছরে শুনানির জন্য আদালতে বার বার ডাক পড়ে সলমনের। কোনও কোনও দিন তিনি হাজিরা দেন, আবার কোনওদিন পরবর্তী হাজিরার তারিখের জন্য আবেদন করেন।