অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের মধ্যে থাকা সম্পর্কের গভীরতা ঠিক কতটা, তা নিয়ে প্রশ্নের কোনও অবকাশই থাকে না। সব সম্পর্কেই কম বেশি অশান্তি, সমস্যা, নানা ঝড় কখনও না কখনও উঠতে দেখা যায়। তাঁরাও ব্যতিক্রম নন। তবে সেই ঝড়ের দাপটে ছিটকে যাওয়া নয়, সম্পর্ককে চার হাতে আগলে রাখা, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যেই লুকিয়ে আসল রহস্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেলিব্রিটিদের নামের সঙ্গে বিতর্ক জড়াতে দেখা যায়। আর তা নতুন কিছু নয়।
মাঝে মধ্যেই শোনা যায় পরকীয়ার নানা গুঞ্জন। তবে বাস্তব আর জল্পনা, বা রটনা আর ঘটনার মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম তফাৎ যে বুঝতে পারে, সেই একমাত্র সম্পর্কের সঠিক সময় সঠিক মূল্য দিয়ে থাকে। সেই তালিকায় প্রথম নামটিই হল সিনেদুনিয়ার জয়া বচ্চন। না, রটনা নয়, অমিতাভ বচ্চনের পরকীয়া এক প্রকার ঘটনাই বটে। তাও নিজেকে এহেন কেচ্ছা থেকে সরিয়ে রেখে সংসারটাই আগলে রেখে চলেছেন জয়া বচ্চন। যার ফলে এই ৪৯ বছরের পথচলা।
একাধিকবার তাঁদের মধ্যে থাকা সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন নেটিজ়েনরা। কে কতটা সুখে আছে! কে কতটা সহ্য করে আছে, কেনই বা এত সমস্যার পরও টিকে থাকা এই সম্পর্কতে, এমনই নানা প্রশ্ন। যার উত্তর দিতে অতীতেও দুবার ভাবেননি জয়া বচ্চন, বর্তমানে ভাবেন না। সিমি গরেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া বচ্চন নিজেই জানিয়েছিলেন, কে কী বলছে, কে কী লিখছে, তার ওপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করা বা জেরা করাটা তাঁর কাছে অযৌক্তিকর। এই জেরা করা বিষয়টা ভীষণ নোংরা। আমিও এই ইন্ডাস্ট্রির। আমি জানি এই দুনিয়াটা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের ভিত্তিতে প্রশ্ন করব, এটা আমার কাছে এক গুরুত্বহীন বিষয় মাত্র।
জয়া বচ্চন এই একই কথা জানিয়ে ছিলেন খোদ রেখাকেও। বলেছিলেন তিনি যেন অমিতাভ আর তাঁর বিষয়টাকে চর্চার কেন্দ্রে নিয়ে না আসেন। তিনি অমিতাভ বচ্চনকে ছাড়তে পারবেন না। তাঁর সন্তানদের জন্য, সমাজে অমিতাভ বচ্চনের সম্মানের জন্যও। তাই জয়া বচ্চনের ভরসা ও সহ্যের বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে অতীতেই। জয়া বচ্চন এভাবেই প্রতিটা ধাপে অমিতাভের পাশে থেকেছেন, অমিতাভের হাত ধরেছেন, বির্তককে পাশ কাটিয়ে সম্পর্ককে আগলেও রেখেছেন।