দর্শিল সাফারি-এই নামের থেকে তিনি বেশি পরিচিত ইশান অবস্থি নামে। ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘তারে জমিন পর’-এর ইশান। আমির খান অভিনীত এই ছবিতে ডিসলেক্সিক শিশুর চরিত্রে দর্শিল তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ছবিটি সেরা বিদেশী চলচ্চিত্রের জন্য ২০০৯ সালে একাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রবেশও ছিল। আমির খান-আমোল গুপ্তের পরিচালনায় ডিসলেক্সিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই ছবি। ওই ছবির পর দর্শিল ‘বাম বাম বোলে’, ‘জোককোমন’ এবং ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’-এর মতো কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। কিন্তু তারপরে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা। লাইট, সাউন্ড, অ্যাকশনকে মিস করলেও, তাঁর বিরতির কারণ হিসেবে দর্শিল জানিয়েছেন তিনি কলেজ জীবনকে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন।
এবার তিনি আবার ফিরছেন। শিশুশিল্পী থেকে একেবারে নায়ক হয়ে হচ্ছে তাঁর সিনেমায় নতুন যাত্রা। একটা নয়, দুটি ছবি দিয়ে তিনি ফিরছেন। নবাগত পরিচালক গৌরব খাতির হুডানইট কাহিনি নির্ভর ‘তিব্বা’ আর ‘মুক্ত’ নামে আরেকটি সিনেমা যেখানে দর্শিল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত এক যুবকের চরিত্রে অভিনয় করবেন।
দর্শিল অভিনয় জগতে ফিরে আসার খবরের পাশাপাশি তাঁর ‘তারে জমিন পার’ ছবির নায়কক আমির খানকে কাজের জন্য ফোন করে কেন কখনও বলেননি তাও জানিয়েছেন একটি সাক্ষাৎকারে। তাঁর ব্যাখ্যা কাজের জন্য আমিরের কাছে পৌঁছানোর অর্থ হল তিনি জীবনে “শর্টকাট” নিতে চান। এছাড়া দর্শিল যোগ করেছেন যে আমিরকে কাজের জন্য বলতে তিনি লজ্জা বোধও করেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে নিজের চেষ্টায় যে কোনও কাজ পাওয়া উচিৎ। অভিনেতা আরও যোগ করেছেন যে এটি এমন নয় যে তিনি একটি দীর্ঘ কাট নিতে চান তবে তিনি একটি শেখার কাটে বেশি আগ্রহী এবং তিনি জোর করতে চান না। এখন তিনি তাঁর বলিউডে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত এবং একজন অভিনেতা হিসেবে নিজেকে কতটা তৈরি করেছেন তা সময় বলবে।