বৃহস্পতিবার (১৫.০৯.২০২২) দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা ‘ইকোনমিক অফেন্সেস উইং’, অর্থাৎ ইওডব্লিউ-র (EOW) প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে দুই বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ় ও নোরা ফতেহিকে। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের। এর বহু আগেই অবশ্য নাম জড়িয়েছিল এই দুই অভিনেত্রীর। ১৭ অগস্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের (ED) অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় নাম উঠেছে জ্যাকলিনের। ২০০ কোটি টাকার অর্থিক জালিয়াতির মূল ষড়যন্ত্রকারী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের ঘনিষ্ঠতা, তাঁদের অন্তরঙ্গ ছবির টুইট, সুকেশের থেকে কোটি-কোটি টাকার উপহার গ্রহণ করার ঘটনা জ্যাকলিনকে আজ এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। যার কারণে, বলিউডে কাজ হারাচ্ছেন জ্যাকলিন।
অন্যদিকে নোরা ফতেহিও নাকি উপহার নিয়েছেন সুকেশের থেকে। কিন্তু তাঁর নাম ইডির অতিরিক্ত চার্জশিটে আসেনি। তাঁকে কেবলই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই নিয়ে আদালতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জ্যাকলিন। বলেছিলেন, নোরাও উপহার নিয়েছেন সুকেশের থেকে। তা হলে তাঁর নাম কেন নেই ইডির চার্জশিটে। এবার তাঁদের দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইওডব্লিউ। কেবল তাঁরা দু’জন নন, যে ব্যক্তি সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিন ও নোরার আলাপ করিয়ে দিয়েছিল, সেই পিঙ্কি ইরানিকেও তলব করেছে ইওডব্লিউ।
গত বুধবারও (১৪.০৯.২০২২) জ্যাকলিন এবং নোরাকে জিজ্ঞাসা বাদ করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা ইওডব্লিউ। ৮ ঘণ্টা ধরে চলে সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। সেই পর্বে জ্যাকলিন স্বীকার করে নিয়েছেন, সুকেশের সঙ্গে ৬ মাসের সম্পর্ক ছিল তাঁর। তিনি এও জানিয়েছেন, সুকেশের আর্থিক জালিয়াতি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। ৫০টি প্রশ্ন করা হয় জ্যাকলিনকে। সেই একই প্রশ্ন তাঁকে করেছিল ইডিও। অন্যদিকে নোরা ফতেহিতে অনেক আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।