আলিয়া ভাট অভিনীত ‘রাজ়ি’র মতো ছবি প্রযোজনা করেছে জাঙ্গলি পিকচার্স। এবার তারাই প্রযোজনা করতে চলেছে একটি এপিক ড্রামার। ছবির নাম ‘দোসা কিং’। জীবনজ্যোতি সন্থকুমারের জীবন ও জীবনের দুর্দশাকে পর্দার রূপ দিতে চলেছে এই সংস্থা। সেই জীবনজ্যোতি, যাঁকে ২০০১ সালে নিজের স্বামীকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ছবিটি পরিচালনা করছেন টি জে জ্ঞানাভেল। ‘জয় ভীম’ ছবির পরিচালক তিনি। এবার নতুন ছবির কাজে কোমর বেঁধে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কেবল তাই নয়, ‘দোসা কিং’-এর হাত ধরে হিন্দি ছবির জগতে পা রাখতে চলেছেন জ্ঞানাভেল। কয়েকদিন আগেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা বিজয় সুরিয়ার সঙ্গে কাজ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন জ্ঞানাভেল। তাঁর তামিল ছবি ‘জয় ভীম’ দর্শক ওটি জে জ্ঞানাভেল সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি নিজেই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন।
‘দোসা কিং’ জীবনজ্যোতির জীবনসংগ্রামের গল্প তুলে ধরবে পর্দায়। বিশ্বের বিখ্যাত ও বৃহত্তম দক্ষিণ ভারতীয় রেস্তোরাঁ চেইনের মালিক তিনি। বারবারই নিজের উদারতার পরিচয় দিয়েছিলেন জীবনজ্যোতি। কিন্তু শেষে নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগে তাঁকে দোষী প্রমাণিত করে দেশের শীর্ষ আদালত।
ছবিতে রয়েছে ড্রামা। পরিচালক সেটিকে ‘এপিক ড্রামা’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চান। ছবি পরিচালনার আগে তিনি নিজেও সাংবাদিকই ছিলেন। ফলে এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তাঁর নখদর্পণে। তিনি বলেছেন, “আমি যখন সাংবাদিক ছিলাম, তখন এই খুনের ঘটনাটি খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম। জীবনজ্যোতির আইনী লড়াইকে তুলে ধরতে চাই পর্দায়। এটা আমার কাছে সত্যি একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”
প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানান হয়েছে, “‘দোসা কিং’ দারুণ গল্প। এই গল্প বলার জন্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টির প্রয়োজন। জ্ঞানাভেলের সেই দৃষ্টি রয়েছে। তাঁকে পরিচালক হিসেবে পেয়ে আমরা সত্যিই খুব খুশি। এই বিষয়টি নিয়ে তাঁর নিজেরও অনেক রিসার্চ রয়েছে।”