গত কয়েকদিন ধরেই মহাদেব বেটিং অ্যাপ নিয়ে ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। কারণ একটাই, একের পর এক সেলেবের নাম জড়িয়ে পড়ছে এই দুর্নীতিতে। একাধিক সেলেব মোটা টাকার বিনিময়ে হয়ে উঠেছিলেন এই অ্যাপের মুখ। কয়েক মাস ধরেই এই অ্যাপ নিয়ে কাজ করে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ (ED)। এবার সেই তালিকায় উঠে এল একাধিক স্টারের নাম। শুরু হয়েছিল কাপুর পরিবারের পুত্র রণবীর কাপুরকে দিয়ে। প্রথম সমন পান তিনি। তারপর ধীরে ধীরে সমন পেলে শুরু করলেন একগুচ্ছ স্টারেরা। যে তালিকায় রয়েছে, কপিল শর্মা, সোনাক্ষী সিনহা, হুমা কুরেশি, হিনা খান প্রমুখেরা।
যদিও সূত্রের খবর, এই সেলেবদের ডেকে পাঠান হয়েছিল কেবল মাত্র এই তদন্তে সাহায্যের উদ্দেশে। সত্যি কি তাই, এই বিষয় এখনও ধোঁয়াশা বর্তমান। তবে এবার মাঠে নামলেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাওয়াত। সকলকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন এবার কিন্তু শুধরে যাওয়ার সময় এসেছে। কঙ্গনার কথায়, এই অ্যাপের মুখ হওয়ার প্রস্তাব আমার কাছে একবছরে অন্তত পক্ষে ছয় বার এসেছে। প্রতিবারই আগের থেকে কয়েককোটি টাকা বাড়িয়ে আমায় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আমায় নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি প্রতিবারই ভীষণ স্পষ্টভাষায় না জানিয়ে দিয়েছিলাম। এটা নতুন ভারত। শুধরে যাও, নয়তো শুধরে দেওয়া হবে।
এক কথায় বলতে গেলে স্পষ্ট ভাষায় বলিউডকে হুমকি দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিলেন মোটা টাকার হাতছানিতে তিনি নিজে কোনও মতেই এই ধরনের কাজে নিজেকে জড়াতে রাজি নন। কঙ্গনা রানাওয়াত আরও স্পষ্ট করে ভারত প্রসঙ্গও এদিন টেনে আনেন, যা কেন্দ্রের পক্ষে হয়েই সুর তোলার মতো লাগে এক শ্রেণির কাছে।
প্রসঙ্গত, মহাদেব বেটিং অ্যাপ নিয়ে এখন তদন্ত চলছে পুরোদমে। সূত্রের খবর প্রায় ২০০০ কোটি টাকা নাকি তছরুপ হয়েছে এই অ্যাপের মাধ্যমে। যেখানে কালো টাকাকে সাদা করার চেষ্টা করা হয়। এখানেই শেষ নয়, শোনা যায় এই সেলেবদের যে পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা নাকি অধিকাংশটাই নগদ টাকায়।