ইন্ডাস্ট্রিতে একজন নন, দু’জন প্রযোজকের নাম আলিয়া। একজন কিছুদিন আগেই প্রযোজনা করেছেন ‘ডার্লিংস’ নামের একটি ছবি। তিনি আলিয়া ভাট। তাঁকে গোটা বিশ্ব চেনে দারুণ অভিনেত্রী হিসেবে। অন্যজন অভিনেতা নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকীর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী। তিনিও প্রযোজক। ‘হোলি কাউ’ নামের একটি ছবি আগেই প্রযোজনা করেছেন দ্বিতীয় আলিয়া। এবার তাঁর দ্বিতীয় ছবিটিও প্রযোজনা করতে চলেছেন নওয়াজ়-পত্নী। সেটি একটি বায়োপিক। ছত্তিসগড়ের কিংবদন্তি লোকসঙ্গীত গায়িকা পদ্মভূষণ প্রাপক তেজন বাইয়ের জীবনকে পর্দায় তুলে ধরতে চাইছেন আলিয়া। চমক আরও আছে। এই ছবিতে অভিনয় করছেন আলিয়ার স্বামী নওয়াজ়ও।
তেজন বাইয়ের বায়োপিক সম্পর্কে আলিয়া বলেছেন, “এটা আমার ড্রিম প্রজেক্ট। অনেকদিন থেকেই তেজন বাইকে নিয়ে একটা ছবি তৈরি করার পরিকল্পনা করছিলাম। তাঁকে সকলে আম্মা বলেই ডাকেন। আমিও তাই ডাকি। অনেক বয়স হয়েছে তাঁর। এই বয়সে এসেও লাগাতার ঘণ্টার পর-ঘণ্টা স্টেজে দাঁড়িয়ে পারফর্ম করেন তেজন এবং গানের একটিও শব্দ তিনি ভোলেননি। আমার স্বামী নওয়াজ়ও তেজন বাইয়ের বিরাট বড় ভক্ত। থিয়েটার করার সময় থেকেই তেজান বাইয়ের পারফরম্যান্স দেখছেন নওয়াজ়। বলতে ভাল লাগছে যে, নওয়াজ়ও এই ছবিতে অভিনয় করছেন। তেজন বাই সমাজের সঙ্গে অনেক লড়াই করে আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। সেই সময় থেকে তিনি পারফর্ম করছেন, যখন মহিলাদের কথা বলারও অধিকার ছিল না।”
লকডাউন হওয়ার আগে আলিয়া ও নওয়াজ়ের মধ্যে বৈবাহিত সমস্যা তৈরি হয়েছিল। নওয়াজ় ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন আলিয়া। আইনি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। তাঁদের প্রায় ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছিল। তারপর করোনা প্যানডেমিক হওয়ার পর আলিয়া ও নওয়াজ় একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। তখন থেকেই তাঁদের সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করে।