২০২০ সাল, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে পর্দা ফাঁস হয়েছিল বলিউডের অন্দরমহলের। একে একে সামনে উঠে এসেছিল মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে থাকা নানা খবরাখবর। মৃত্যুর তদন্তে নামতেই প্রকাশ্যে আসে রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে মাদকের সংযোগের রহস্য। রীতিমত মাদক নিতেন সুশান্ত, তবে সেই মাদক পেতেন কোথা থেকে! এখানেই ছিল আসল চমক। খোদ সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীই পৌঁছে দিতেন মাদক। তাঁর ভাই সৌভিকের কাছ থেকে মাদক পেতেন তিনি, এছাড়াও ছিল একাধিক উৎস, যেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকায় মাদক কিনে নিতেন।
অতীতে রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটস অ্যাপ ঘেঁটে উদ্ধার হয়েছিল তার তথ্য প্রমাণও। একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনও হয়েছিল রিয়ার সঙ্গে সুশান্তের। একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছিল যেখানে চ্যাটের বিস্তারিত তথ্য সামনে আসে। তা নিয়ে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর টানা ৫০ দিনের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাইকে। তারপর থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় ছিলেন অভিনেত্রী।
তবে শেষ রক্ষা হল না। আরিয়ান বেকসুর খালাস হওয়ার পরই রিয়া চক্রবর্তীর মামলাও খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল। তা থেকে এবার আবারও সামনে আসতে শুরু করছে একাধিক তথ্য। সম্প্রতি এনসিবি থেকে জানানো হল রিয়া চক্রবর্তী একাধিক উৎস থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন। এবং তা পৌঁছে দিতেন সুশান্ত সিং রাজপুতের কাছে। সেই মর্মেই তৈরি করা হয়েছিল চার্জশিট। যেখানে NDPS Act-এর আওতায় ধারা ২৭, ২৭ এ, ২৮, ২৯-এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেখানে স্পষ্টভাষায় উল্লেখ থাকে রিয়া চক্রবর্তী একাধিক সূত্র থেকে ড্রাগ নিতেন, স্যামুয়েল মিরান্ডা, সৌভিক, দিপেশ সাওয়ান্ত সহ একাধিক ড্রাগ ডিলারের নাম। বর্তমানে এই ড্রাফট চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। তবে সূত্রের খবর রিয়া চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ প্রমাণিত হলে হতে পারে ১০ বছরের জেল পর্যন্ত। আগামীতে কোন পথে এগোবে তদন্ত তার বিস্তারিত তথ্য সময়ে সময়ে প্রকাশ্যে আনবে এনসিবি বলেই সূত্রের খবর।