ইজ়রাইলের পরিচালক এবং এ বছরের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (ইফি) জুরি প্রধান নাদভ ল্যাপিড খবরের শিরোনাম দখল করে নিয়েছেন তাঁর একটি মন্তব্যের কারণে। তিনি মন্তব্য করেছেন বহু আলোচিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে। ইফির মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাদভ বলেছেন যে, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ একটি ‘অশ্লীল প্রচার’…। তাঁর এই মন্তব্যের পর ফের আলোচনার কেন্দ্রে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এবার ক্ষমা চাইলেন নাদভ।
তাঁর এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নাদভ ল্যাপিড বলেছেন, “কোনও ব্যক্তি কিংবা তাঁদের পরিবারের কাউকে আঘত করতে চাননি তিনি। তাঁদের অপমান করতে চাননি…।”
প্রতিবারের মতো এবারও গোয়াতেই অনুষ্ঠিত হয় ইফি। সেখানে দেখানো হয় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি। বছরের শুরুতে ছবি মুক্তির সময় যে ব্যাপক আকারে সমালোচনা হয়েছিল ছবিকে কেন্দ্র করে, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটে ইফিতে ছবি প্রদর্শনীর পর। নাদভের মন্তব্যের পর তাঁকে নিন্দা করেছেন ছবির পরিচালক এবং লেখক বিবেক অগ্নিহোত্রী, অভিনেতা অনুপম খের এবং অভিনেত্রী পল্লবী যোশী।
সম্প্রতি সিএনএন-আইবিএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নাদভ বলেছেন, “আমি কাউকে অপমান করতে চাইনি। কোনও ব্যক্তি কিংবা তাঁদের পরিবারের কাউকে আঘাত করতে চাইনি। যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁদের অসম্মানও করতে চাইনি। এরকমটা হয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” নাদভ এও জানিয়েছেন, নিজের ব্যক্তি মত প্রকাশ করেননি তিনি। সকল জুরির হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। তার আগে মার্কিন মুলুকে মুক্তি পায় এই ছবি। সেখানে ছবি মুক্তির সময় বিবেক হুমকি পেয়েছিলেন। ভারতেও ছবির মুক্তির সময় তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি করেছিলেন পরিচালক। ছবি মুক্তির পর আলোচনার ঝড় বয়ে যায়। অনেকেই মনে করতে শুরু করেন এই ছবি কুৎসিত প্রচার।
১৯৯০ সালে কাশ্মীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অকথ্য অত্যাচারের কাহিনি এই ছবিতে তুলে ধরেছিলেন বিবেক। সেই সঙ্গে তুলে ধরেছিলেন রাজনৈতিক এবং অর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোকেও। ছবির দৃশ্যায়ন নিয়ে অনেকেরই আপত্তি ছিল। বাঁধা এসেছিল রাজনৈতিক মহল থেকেও। কিন্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতরা জানিয়েছিলেন, ছবিতে বিবেক যা-যা দেখিয়েছেন, তার কোনওটাই অতিরঞ্জিত নয়…