কেঁদে ফেললেন সলমন খান। অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁর চোখে জল। জানালেন কেরিয়ার হতে পারত অন্যরকম তবে সব ক্রেডিট নিয়ে নাকি চলে যান ভাগ্যশ্রীই। সলমনের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তিনি হয়ে পড়েন বেকার। কী হয়েছিল সেদিন? আইফার মঞ্চে ভাইজান আবেগঘন।
প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’তে তাঁর সহ অভিনেত্রী ছিলেন ভাগ্যশ্রী। ছবি মুক্তি পায়, সুপারহিট হয়। কিন্তু হঠাৎই ভাগ্যশ্রী শো-বিজ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সলমনের কথায়, “ভাগ্যশ্রী আর কাজ করতে চাইল না। ছবির সব ক্রেডিট নিয়ে চলে গেল, ঠিক করল ও নাকি বিয়ে করবে। ছবি হিট হওয়ার পরেও আমার কাছে কোনও অফার আসেনি। আর এই সময়েই ভগবানের মতো আমার জীবনে প্রবেশ ঘটল রমেশ তউরানির (প্রযোজক)।” ছেলের যে কাজ নেই তা মিডিয়াকে বুঝতে দিতে চাননি বাবা সেলিম খান। নিয়েছিলেন অদ্ভুত এক পন্থা। রীতিমতো আশ্রয় নিতে হয়েছিল মিথ্যের। সুপারস্টার সলমনের কাছে অবশ্য এ সব আজ স্বপ্নের মতো।
সলমন যোগ করেন, “আমার বাবা পরিচালক জিপি সিপ্পিকে খুশি করার জন্য ২০০০টাকা দেয়। আমার ছবি আসছে এ রকম এক মিথ্যে প্রচার করা হয়। ম্যাগাজিনেও বের করা হয় তা। এর পরেই রমেশজি সিপ্পিজির অফিসে গিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে আসেন সেই ছবির মিউজিকের জন্য। আর সে কারণেই ১৯৯১ সালে আমার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে। ছবি আসে ‘পাত্থর কা ফুল’। এরপর ধীরে ধীরে জমি শক্ত করেছেন সলমন। তবে কেরিয়ারের প্রথম দিকে স্টারকিড হয়েও ছিল না টাকা, জানিয়েছেন নিজেই। সে সময় ‘মসিহা’র মতো পাশে দাঁড়ান অভিনেতা সুনীল শেট্টি। কিনে দেন সলমনের পছন্দের ঘড়ি, ওয়ালেট। সেই সব স্মৃতি আজও ভোলেননি। যেমন ভোলেননি বনি কাপুরের কথাও। এই বনি কাপুরই সলমনকে ২০০৮ সালে ‘ওয়ান্টেড’ ছবিতে কাজের অফার দেন। সে সময় সলমনের ছবি ফ্লপ হচ্ছিল। ওই ছবিই তাঁর ডুবতে বসা কেরিয়ারকে আবারও চাঙ্গা করে তোলে। ইণ্ডাস্ট্রিতে বহুদিন কাটিয়েছেন তিনি। আর সেই সব মনে করেই চোখে জল ভাইজানের। যার সাক্ষী থাকল আইফার মঞ্চের হাজার হাজার দর্শক।