জব্বলপুর থেকে মুম্বই– যাত্রাপথ নেহাত কম নয়। কিন্তু প্রিয় তারকার জন্য এ যাত্রাপথের যাবতীয় কষ্টও যেন নেহাতই ফিকে। সলমন খানের সঙ্গে দেখা করতে ১১০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে এলেন তাঁর এক অন্ধ ভক্ত। তারপর কী হল? দেখা কী হল স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে নাকি ব্যর্থ মনোরথ হয়েই ফিরতে হল তাঁকে? ভক্তের নাম সমীর। সলমনের জন্মদিনেই প্রিয় তারকাকে দেখার আশা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাঁর আশা পূর্ণ হয়েছে। ভক্তের মন রেখেছেন ভাইজান। যে সাইকেল করে প্রিয় নায়কের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি, সেই সাইকেলের সামনেই দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন তিনি। সাইকেলটি কিন্তু যে সে নয়। তাতে রয়েছে সলমনের ছবি। রয়েছে ‘বিইং হিউম্যান’ লেখাও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, যে মুহূর্তে সলমন শুনেছেন তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই ভক্ত, তিনি আর দেরি করেননি। নীচে নেমে দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। পাঁচ দিন দু’চাকায় চেপে এসেছে যে ভক্ত, তাঁকে ফেরায় সে সাধ্য কার? ছবি শেয়ার করা হয়েছে সলমন খানের ফ্যানক্লাবের তরফেও।
প্রিয় তারকার জন্য ভক্তদের এই উন্মাদনা নতুন নয়। অতীতেও দেখা গিয়েছে এমন অনেক দৃষ্টান্ত। সলমনের জন্য পাগল ফ্যানের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সলমনও যে তাঁর ভক্তদের কতটা ভালবাসেন, সে প্রমাণ মিলেছিল কিছুদিন আগেই। গত মাসেই গিয়েছে সলমনের জন্মদিন। সে সময় তাঁর এক হাতে লেখা চিঠি ভাইরাল হয়েছিল। ১৯৯০ সালে চিঠিটি লিখেছিলেন সলমন খান। চিঠি লিখেছিলেন তাঁর ভক্তদের উদ্দেশে। সলমন লিখেছিলেন, “আমি নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। আমি আমার সম্পর্কে আমার ভক্তদের কিছু জানাতে চাই। প্রথমত আমাকে গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ। আমার ভক্ত হওয়ার জন্যও ধন্যবাদ। এই মুহূর্তে আমি ভাল চিত্রনাট্যে অভিনয় করার চেষ্টা করছি। আমি জানি যাই করি না কেন, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’র সঙ্গে আমার তুলনা করা হবে। আমি আমার ১০০ শতাংশ দিতে চাই।”
এখানেই থামেননি তিনি। আরও যোগ করেন, “আমি তোমাদের ভালবাসি। আমি আশা রাখছি আপনারাও আমাকে একই ভাবে ভালবাসবেন, আর যেদিন ভালবাসা বন্ধ করে দেবেন, আমার ছবি দেখা বন্ধ করে দেবেন, সেদিনই আমার কেরিয়ারের বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে। আর ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই, তা তো আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন।” সলমনে ওই চিঠি পেয়ে আবেগঘন হয়েছিলেন ভক্তরাও। বাইরে থেকে কঠোর হলেও সলমন নাকি ফেরাননা কাউকেই– এ কথাই প্রমাণিত হয়েছিল আরও একবার।