চারিদিকে আলোর রোশনাই। এরই মধ্যে খারাপ খবর সলমন খানের জীবনে। প্রয়াত হলেন তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী, তাঁর বডি ডাবল। অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ যে সব শট সলমন নিজে দিতেন না তাঁর হয়ে অন্য যে মানুষটি দিয়ে এসেছেন প্রয়াত হলেন তিনিই। প্রয়াত ব্যক্তির নাম সাগর পান্ডে। জিমে ওয়ার্কআউট করার সময়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হন সাগর। তাঁর ৫০ বছর বয়স হয়েছিল। সলমনের সঙ্গে প্রায় ৫০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছিলেন সাগর।
‘বজরাঙ্গী ভাইজান’ ছবিতেও সলমন খানের বডি ডাবল হয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল সাগরকে। সেই সেট থেকেই একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে সলমন লেখেন, “সব সময় আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি তোমার আত্মা শান্তি পাবে সাগর ভাই।” সলমন ওই খবর শেয়ার করা মাত্রই ইনস্টাগ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোক বার্তা। জিম করতে গিয়ে আরও এক মৃত্যু! বিশ্বাসই হচ্ছে না কারও। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, উত্তর প্রদেশে আদি বাড়ি সাগরের। অভিনেতা হতে মুম্বই এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছে পূর্ণ হয়নি। সলমনের মতো শারীরিক গঠন হওয়ায় তিনি সুযোগ পান তাঁর বডি ডাবল হিসেবে অভিনয় করার। পর্দায় ভাইজানের হাড়কাঁপানো নানা দৃশ্যের নেপথ্যে ছিলেন তিনিই। যদিও বরাবরই তিনি ছিলেন অন্তরালেই। ১৯৯৮ সালে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ থেকেই সলমনের বডি-ডাবল হিসেবে কাজ শুরু করেন সাগর। পরিবারে আরও অনেক সদস্য রয়েছে তাঁর। তাঁর আয়েই মূলত চলত সংসার, জানাচ্ছে ঘনিষ্ঠরা। পরিবারের এখন কী হবে, সেটাই ভাবাচ্ছে সাগরের সহকর্মীদের।
বলিউডে জিম করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। ধারাবাহিকের জনপ্রিয় শিল্পী দীপেশ ভানও জিম করে এসেই মারা যান । বয়স হয়েছিল ৪১ বছর। বিয়ে করেছিলেন ২০১৯ সালে। রয়েছে এক বছরের এক শিশুপুত্রও। সুস্থই ছিলেন অভিনেতা। ছিল না কোনও শারীরিক সমস্যা, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল তেমনটাই। জিম শেষ করে এসেই বাড়ির লাগোয়া অঞ্চলে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। বল করছিলেন দীপেশ। এক ওভার বল করার পরেই নিচু হয়েই টুপি তুলতে যান। আর তখনই মাটিতে পড়ে যান দীপেশ। বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিট দূরে অবস্থিত হাসপাতালে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হলেও কিচ্ছু করা যায়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জিম করে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হন কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবও। ৪১ দিন হাসপাতালে যুদ্ধ করেই তিনি ফিরতে পারেননি। এবার চলে গেলেন সাগরও। এ শোক কি শেষ হওয়ার নয়?