সলমন খান ও তাঁর পরিবারের উপর হামলার হুমকি দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। তাঁকে হত্যা করতে নাকি পাঠানো হয় শার্প শুটারও। চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর এবার আত্মরক্ষার জন্য মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন অভিনেতা, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে এমনটাই। এ দিন বিকেলে মুম্বই পুলিশ কমিশনার বিবেক পানসলকরের সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই পুলিশের সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিগত বেশ কিছু দিন ধরে উড়োচিঠি ও শার্পশুটার কাণ্ডের জেরে এ দিন নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে পুলিশ কমিশনার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎও ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই প্রাতর্ভ্রমণের সময় এক হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন সলমন খানের বাবা সেলিম খান। ওই হুমকি চিঠিতে লেখা গিয়েছিল, ‘মুসেওয়ালার মতো অবস্থা হবে’। পঞ্জাবী গায়ক ও কংগ্রেস নেতা মুসেওয়ালা মে মাসেই খুন হন কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের হাতে। ৩০টি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। সলমনের পরিবার ওই হুমকি চিঠি পাওয়ার পরেই বান্দ্রা থানায় এক এফআইআর দাখিল করা হয়েছিল। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছিল তাঁর নিরাপত্তাও।
এখানেই শেষ নয়, এর কিছু দিন পর সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস নাও’ এক ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করে সলমনকে হত্যার জন্য পাঠানো হয়শার্পশুটারও। যদিও সেই ‘মিশন’ ব্যর্থ হয় আততায়ীদের। লরেন্সের গ্যাংয়ের কাছে সলমন নতুন টার্গেট নয়। এর আগে ২০১৮ সালেও সলমনকে হত্যার ছক কষেছিল তারা। লরেন্স ঘনিষ্ঠ সম্পত ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। সেই ফাঁস করেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিউল, কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের জন্যই লরেন্স ও তার অনুগামীরা শেষ করে দিতে চেয়েছিল সলমনকে। লরেন্স জাঠ, তাদের সম্প্রদায়ে কৃষ্ণসার পবিত্র। আর তাই লরেন্সেরর আক্রোশের কারণ বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছিল পুলিশ। যদিও সম্পত ধরা পড়ে যাওয়া সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়। প্রাণনাশের ক্রমাগত হুমকির কারণে এ বছর ইদেও বাড়ির বাইরে পা রাখেননি সলমন। তাঁর বাড়ির সামনে ভক্তরা ভিড় করলেও অন্যান্য বারের মতো বের হতে বা হাত নাড়তে দেখা যায়নি তাঁকে। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরে যান ভক্তরা। এবার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে নেপথ্যে কি আরও বড় কোনও কারণ? ভাইজানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁর ভক্তরাও।