প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকাণ্ড প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিবির তুলে ধরতে চেয়েছে এক মুখোরচক বিষয়। তাদের দাবি, উদ্ভব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে নাকি সুশান্তের মৃত্যুর মামলা চলাকালীন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে ৪৪বার ফোন করেছিলেন। রিয়াই ছিলেন সুশান্তের রহস্যজনক মৃত্যুর প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, নামের প্রথম অক্ষর ‘AU’ আছে, এমন ব্যক্তির থেকে ৪৪টি ফোন পেয়েছিলেন রিয়া। এবং সেই নাম আর কারও নয় – আদিত্য ঠাকরের।
শিন্ডে ক্যাম্পের সাংসদ রাহুল শেওয়ালে আদিত্য এবং সুশান্তের মৃত্যুর মধ্যে বড়সড় যোগ আছে বলে দাবিও করেছেন। বলেছেন, “রিয়া চক্রবর্তীকে ৪৪বার ফোন করেছিলেন আদিত্য এবং সিবিআই এই নিয়ে কিছুই করছে না।” দিন কয়েক আগে লোকসভাতেও বিষয়টি উত্থাপন করেন শেওয়ালে। বলেন, “AU-এর থেকে ৪৪টি ফোন পেয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী । বিহার পুলিশ বলেছে, এই AU আদিত্য ঠাকরে ছাড়া আর কেউ নন। তা হলে এখন সিবিআই কি করছে?”
গোটা ঘটনায় আদিত্য ঠাকরের কি প্রতিক্রিয়া?
ইতিমধ্যেই আর দিকে উঠে আসা অভিযোগের আঙুলকে নামিয়ে দিতে চেয়েছেন আদিত্য। রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগকে অস্বীকার করেছেন একলহমায়। সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্য মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর যোগ থাকাকেও ফুৎকারে উড়িয়েছেন।
শিন্ডে শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে আদিত্য বলেছেন, “আমি কেবলই বলব, আমি তোমাকে বেশি ভালবাসি। যে নিজের বাড়ির কাছে সৎ নয়, নিজের পার্টির কাছে সৎ নয়, তার থেকে আমরা বেশি কিছু আশা করি না। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের জমি দুর্নীতি নিয়ে আমাদের আক্রমণ থেকে নজর সরানোর জন্য এই সমস্ত বিষয়কে তুলে ধরা হচ্ছে।”
২০২০ সালের ১৪ জুন মৃত্যু ঘটে সুশান্ত সিং রাজপুতের। মুম্বইয়ে তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় অভিনেতার। এই রহস্য মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাগিয়ে দেওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত সত্যিটা জানা যায়নি। তবে আজ, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২, সুশান্তের মৃত্যুর প্রায় আড়াই বছর পর, চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কুপার হাসপাতালের মর্গের কর্মী রূপকুমার শাহ সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেছেন, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছিল। সেই কর্মীর দাবি, সুশান্তের মৃতদেহে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন।
TV9 মরাঠিকে কুপার হাসপাতালের মর্গের কর্মী জানিয়েছেন, সুশান্তের মৃত্যুর দিন মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য ৫টি মৃতদেহ আসে। সেই ৫টি দেহের মধ্যে একটি দেহ ছিল ভিআইপি-র। ময়নাতদন্তের সময় তিনি লক্ষ্য করেছিলেন, সেটি ভিআইপি সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্নও নাকি পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী, ঘাড়েও আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো তুলতে বারণ করা হয়েছিল উপর মহল থেকে। নির্দেশ ছিল এটাই, কেবল ছবি তোলা হবে।