বলিউডে পা রাখা আর বলিউডের (Bollywood) টিকে থাকার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত বর্তমান। প্রতিবছরই হাজার হাজার নতুন মুখ বলিউডে নিজেদের স্বপ্নপূরণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকেন। ভাগ্যচক্র ও কাজের দক্ষতা কিংবা গুড লুকিং, সজন-পোষণ (Nepotism) যে কোন কারণবশত প্রথম কাজটি পেয়ে যাওয়া হয়তো খুব একটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় না। আসল লড়াই শুরু হয় তারপর থেকে। টিকে থাকার লড়াই। আর সেই লড়াই থেকে বড় বড় মুখেদের ছিটকে যেতে দেখেছে সিনে-প্রেমীরা। বলিউডে কেবল খান দাপট দীর্ঘদিন ধরে বজায় ছিল। সেই জায়গা আর কেউ করে নিতে পারেনি। বিষয়টা যখন লক্ষ্য করেছিলেন বলিউড অভিনেতা রবীণর সিং (Ranveer Singh), তিনিও স্থির করেছিলেন অভিনয়ে আর করবেন না। ২০০০ সাল তখন মাত্র দশম শ্রেণীর ছাত্র রণবীর সিং। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল তিনি অভিনেতা হবেন।
ভাল করে লক্ষ্য করেছিলেন বলিউডে তাঁরাই নিজের জায়গা করে নিয়েছে, যাদের বাবা হয় অভিনেতা নয় প্রযোজক নয় পরিচালক। তার মত কোন সুপারিশ ছাড়া বলিউডে ঢুকে নিজের জায়গা করে নেওয়ার মতো মুখের বড়ই অভাব ছিল তখন। তাই কাজ শুরু করার পরও তিনি স্থির করেছিলেন অভিনয় ছেড়ে দেবেন। তার বদলে লেখালেখির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে চেয়েছিলেন। এরপর নিজেরই মনে হয় কাজ পাওয়ার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি কি নিজের বেস্ট শট-টা অর্থাৎ সেরা কাজটা বলিউডকে উপহার দিয়ে দিয়েছেন? ভেতর থেকে যখন তার উত্তর আসে না, তখনই আবারও মাঠে নেমে পড়েন রণবীর সিং।
তারপর থেকে তাঁর যাত্রা সম্পর্কে আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বলিউডে একের পর এক সুপারহিট ছবি তার ঝুলিতে। বর্তমানে সিনে দুনিয়ায় তাঁর চাহিদাও তুঙ্গে। সব মিলিয়ে রণবীর সিংকে ঘিরে এখন বক্স অফিসও বেজায় আশাবাদী। তবে একটা সময় এই অভিনেতাই রীতিমতো চার বছর বাড়িতে বসে গিয়েছিলেন এই ভেবে যে, অভিনয়কে তিনি তাঁর পেশা হিসেবে নিতে চান না। কারণ এতে তিনি প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন না। এরপর নিজের ইচ্ছা অধ্যাবসায় ও জেদ-ই তাঁকে ভুল প্রমাণ করে।