আমির খান (Aamir Khan) তাঁর নতুন ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’ নিয়ে বেশ ভাবিত। এরমধ্যে আবার তিনি মনে করেছিলেন তাঁর নায়িকা করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan) পালিয়ে যেতে পারেন! কেন এই ভাবনা? আজ ছবির একটি গান মুক্তি পয়েছে। সেই গান প্রথম যখন রেকর্ড করা হয়, তখন করিনার খুব ভাল লাগে। বলেওছিলেন সেরা গান এটি। তবে পরে সেই গানের কিছু পরিবর্তন করা হয়। তখন আমির ভয় পান। ভাবেন এই গান শুনে তাঁর নায়িকা না পালিয়ে যান। তিনি তাঁর সুরকার প্রীতমকে হাসতে হাসতে সেই কথা বলেছিলেন। এই রকম একটি ভিডিয়ো আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাগ করেছেন করিনা।
‘ফির না অ্যায়সি রাত আয়েগি’-এই গানটি শুনে করিনার মনে হয়েছিল ‘শতাব্দীর সেরা গান’ হতে চলেছে এটি। পরে গানের কিছু পরিবর্তন করে ফাইনাল রেকর্ড করা হয়। সেই গানই আজ মুক্তি পেয়েছে। নতুন গান শুনে করিনা কী বলবেন ভেবে একটু ভয়েই ছিলেন আমির। দেখা যাক ঠিক কী রয়েছে? ভিডিয়োটি শুরু হয় করিনা গানের সঙ্গে গুনগুন করে এবং জানিয়ে দেন যে এটি সিনেমায় তাঁর প্রিয় গান। ভিডিয়োর দ্বিতীয় অংশে, আমিরকে একটি রেকর্ডিং স্টুডিওতে ঘন দাড়ি, লম্বা চুল আর একটি নীল টুপি সহ তাঁর লাল সিং চাড্ডা লুকে দেখা যাচ্ছে। তাঁকে তাঁর ফোন ঘুরিয়ে সুরকার প্রীতম এবং অন্যদের বলতে দেখা যায়, “ইয়ে গানা শুনকে করিনা নে বোলা ‘ইয়ে সং অফ ড্যেকেড’। ইয়ে আব মে উসকো সুনৌগা তো বোলেগি ‘ইয়ে কেয়া করদিয়া’। আপনি নায়িকা ভাগ যায়েগি (করিনা প্রথমে গান শুনে বলেছিলেন যে এটি দশকের গান। এখন আমি তাঁকে এই সম্পূর্ণ সংস্করণটি শোনাব এবং তিনি খুব বিরক্ত হবেন। আমাদের নায়িকা সিনেমা ছেড়ে পালিয়ে যাবেন)”।তবে ভিডিয়োটি শেয়ার করার সময় কারিনা আমিরকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি এখনও গানটি পছন্দ করেন। “আরে আমির, আমি এখনও এই গানটি পছন্দ করি,” তিনি তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন।
অদ্বৈত চন্দন পরিচালিত ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’। ছবিটি রবার্ট জেমেকিসের ১৯৯৪ সালের সিনেমা ফরেস্ট গাম্প-এর রিমেক। তবে পুরোটাই একটি ভারতীয় মোড়কের সঙ্গে একজন ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাকে তুলে ধরা হবে। এতে কারিনা কাপুর খান আমিরের প্রেমিকা। হলিউডের ছবিতে প্রধান চরিত্রে ছিলেন টম হ্যাঙ্কস। তাঁর বিপরীতে রবিন রাইট অভিনয় করেছেন। লাল সিং চাড্ডা ছবিতে এঁরা এছাড়াও নাগা চৈতন্য, মোনা সিং গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। আগামী ১১ আগস্ট ছবিটি মুক্তি পাবে। সুর করেছেন প্রীতম চক্রবর্তীষ আর গান লিখেছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য।