বলিউডে একের পর এক হিট ছবি যেমন রয়েছে হৃত্বিকের ঝুলিতে, ঠিক তেমনই আবার একাধিক ফ্লপ ছবিও তাঁর নামের পাশে জায়গা করে নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল মহেঞ্জোদাড়ো। ছবিতে গল্প থেকে শুরু করে হৃত্বিকের অভিনয়, প্লট, সবই এক কথায় কড়া ভাষায় সমালোচিত হয়েছিল। পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের কথায় তিনি খুব যত্নের সঙ্গে এই ছবিকে বুনেছিলেন। পরতে-পরতে ছিল কঠিন রিসার্চ। কারণ একটাই, এই ছবিকে তিনি এক অন্যমাত্রাই দিতে চেয়েছিলেন। তবে শর্ত ছিল একটাই। হৃত্বিক রোশনকে রাখতে চেয়েছিলেন পরিচালক এই ছবিতে।
হৃত্বিকের থেকে নেওয়া হয় সময়। প্রস্তাব গ্রহণও করেন তিনি। এরপর আসে ক্রিপ্ট পড়ার পালা। হৃত্বিকের হাতে পৌঁছে যায় ৩০০ পাতার একটি স্ক্রিপ্ট। যা পড়ার আগেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা। জানিয়ে ছিলেন, তাঁর পক্ষে এতটা পড়া সম্ভবপর নয়। কমাতে হবে ক্রিপ্ট। যেহেতু পরিচালকের ইচ্ছে ছিল হৃত্বিককে দিয়েই অভিনয় করানোর, তিনি তাই করেন। প্রায় ২১০ পাতা কমিয়ে ফেলা হয় ছবির ক্রিপ্ট। মাত্র ৮০ পাতার একটি ক্রিপ্ট তৈরি করে তিনি হৃত্বিক রোশনকে দিয়েছিলেন। এই খবর সামনে আসা মাত্রই তা হয়ে যায় ভাইরাল।
নেটিজ়েনরা মুহূর্তে কটাক্ষ করে হৃত্বিক রোশনকে, এই কারণেই ছবির ব্যবসা এতটা খারাপ হয়। IMDb-র একটি রিপোস্ট অনুযায়ী, পরিচালক মোটের ওপর তিন বছর সময় নিয়েছিলেন এই ছবির চিত্রনাট্য তৈরি করতে। বহু রিসার্চ জড়িয়ে ছিল এই ছবির গল্পের পিছনে। যার ফলে বিস্তারিত তথ্য ছিল চিত্রনাট্যে। তবে হৃত্বিককে রাজি করানো যায়নি ছবির চিত্রনাট্য পড়ার জন্য। ৩০০ পাতার চিত্রনাট্য পাতে পাওয়ার পরই মুখ ফিরিয়েছিলেন হৃত্বিক। এরপর ৮০ পাতা হাতে পেতে তিনি রাজি হয়েছিলেন ছবি করতে। কমেন্ট বক্সে কেউ কেউ আবার হৃত্বিকের পক্ষ নিয়েও মন্তব্য করে বসলেন, পুরো ইতিহাস বই ধরিয়ে দিয়েছিলেন হয়তো।