রাজ কাপুর এবং মনোজ কুমার ১৯৭০ সালের হিট ছবি মেরা নাম জোকার-এ এক সঙ্গে কাজ করেছিলেন। একটি পুরানো সাক্ষাত্কারে, মনোজ কুমার জানিয়েছিলেন, একবার, রাজ তাঁর কোলে মাথা রেখে কেঁদেছিলেন দীর্ঘক্ষণ, যদিও সেটা তাঁদের ভুল বোঝাবুঝির পরে। রাজ কাপুর ১৯৮৮ সালে শ্বাসকষ্টের সমস্যর কারণে প্রয়াত হয়েছিলেন। মনোজ কাপুর জানিয়ে ছিলেন যে রাজ নিজেই একবার বুঝতে পেয়েছিলেন যে, তিনি তাঁকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যখন তিনি মনোজকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁকে অভদ্রভাবেই বলা হয়েছিল যে এটি একটি ভুল নম্বর। এই ছিল রাজের রাগের কারণ। যদিও আসল সত্যিটা হল রাজ যখন তাঁকে ফোন করেছিলেন, তখন মনোজ মুম্বইয়ে শুটিং করছিলেন, এবং তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মুম্বই মিরর-কে দেওয়া একটি পুরোনো সাক্ষাত্কারে, মনোজ শেয়ার করেছিলেন যে, তিনি কীভাবে রাজকে পরিস্থিতির আসল ব্যাখ্যা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। “আমরা বিকাল ৪টে জয়কিশানের বাসভবনে দেখা করি, যেখানে আমি রাজ সাহেবকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে আমি বা আমার স্ত্রী শশী কেউই তাঁকে অসম্মান করার সাহস পাব না। আমি তাঁকে এও বলেছিলাম যে আমি শোম্যানের সঙ্গে নয় বরং একজন ভাল অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি এবং তাঁকে দিল্লির রিগাল থিয়েটারে আগের ঘটনা সম্পর্কেও কিছু কথা বলতে গিয়েছিলাম। রাজ সাহেব চুপচাপ আমার কথা শুনলেন, সবটা জানার পর আমার কোলে মাথা রেখে কাঁদতে লাগলেন।”
মনোজ কুমার জানিয়েছিলেন, যে রাজ তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন, যখন তাঁকে মেরা নাম জোকারে তাঁর নিজের দৃশ্যগুলি পুনরায় লেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। “যখন আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম, আব্বাস সাহাব একজন সিনিয়র লেখক, তিনি আমাকে ফোনে তাঁর সাথে কথা বলতে বাধ্য করেছিলেন। আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন। ” মেরা নাম জোকার ছবি ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক অন্যতম ছবি। যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্রেই ছিল বিশেশত্বের ছোঁয়া। অভিনয় থেকে শুরু করে চিত্রনাট্য, কালজয়ী সৃষ্টি হয়ে থেকে গিয়েছে বলিউডের এই ছবি।