সাল ১৯৭০, বলিউডে এক অন্যস্বাদের অভিনেত্রীর দেখা মিলেছিল। বলিউডে তখন অভিনেত্রী মানেই বেশি কিছু শর্ত মেনে অভিনয়। সেই সময়ই সকল শর্ত ভেঙে, সমাজ কী বলবে, এই প্রশ্ন পিছনে ঠেলে সামনে উঠে এসেছিলেন অভিনেত্রী জিনাত আমান। তাঁকে যে কোনও পোশাকে দেখা যেত, তাঁকে যেকোনও লুকেই পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যায়। তিনি এতটাই ছিলেন সাবলীল। জিনাত আমানকে নিয়ে পরিচালকদের এক ভিন্ন আত্মবিশ্বাস কাজ করত। কারণ তিনি ধূমপানে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন, যে কোনও পোশাক তিনি পরতে পারতেন। তাঁকে নিয়ে যখন রাজ কাপুর স্থির করলেন সত্যম শিভম সুন্দরম করবেন, তখনও তিনি পাল্টা প্রশ্ন করতে পিছপা হননি, ছবি চলবে তো?
জিনাতের কথায় তাঁর যে গ্ল্যামার দেখেছে দর্শক এই ছবিতে তা থাকছে না। ফলে তিনি চিন্তায় থাকতেন, আদপে এই ছবি দর্শক গ্রহণ করবেন কি না। তিনি রাজ কাপুরকে জানিয়েছিলেন, যদি এই ছবি না চলে তিনি সামনের জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রাণ নেবেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী ছিলেন রাজ কাপুর। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বলিউডের সেক্স সিম্বল হয়ে ওঠেন। তাঁর স্টাইল থেকে পোশাক, সবটাই ভক্তরা নকল করতে শুরু করে দেন।
জিনাত আমান, যিনি প্রথম থেকেই নিজের কাজ নিয়ে ছিলেন ভীষণ সচেতন। কেরিয়ারে একাধিক স্বাদের চরিত্রে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যায়। পরতে পরতে চমক জাগিয়েছেন তিনি। প্রমাণ করেছেন বারবার, যে চরিত্রেই তাঁকে রাখা হোক না কেন, তিনি সেখানেই ফিট। সংলাপ থেকে শুরু করে বলিউড গ্ল্যামার, চরিত্রের উপস্থাপনা, সবটাই যেন তিনি ভীষণ যত্নের সঙ্গে করতেন। তবে কেবল স্টার বলে নয়, তিনি ভাল অভিনেত্রী বলেই একাধিক চ্যালেঞ্জ নেওয়ার আগে দুবার ভাবেননি।