শ্রীদেবীকে জব্দ করতে শেষে নিজের জুতো ৩০ মিনিট ধরে বাঁধিয়ে ছিলেন বনি?
Sridevi: বনি কাপুর এই বিষয় খুব একটা মাথা ঘামাতেন না। তাই রোজের কিছু না কিছু বাহানা বার করে নিতেন তিনি। একদিন শ্রীদেবীর রাগের সামনে হার মানেন তিনি। স্থির করেন যাবেন। মনে মনে শ্রীদেবীকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
শ্রীদেবী বরাবরই শরীর সম্পর্কে সচেতন। পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যের প্রতি ছিল তাঁর বিশেষ যত্ন। নিজেকে এমনভাবে ধরে রেখেছিলেন শ্রীদেবী যা সকলকে তাক লাগাত। তাঁর রূপ থেকতে শুরু করে শরীরী গরন, বয়সের ছাপ বিন্দুমাত্র কোথাও দেখা দিত না। তাঁর পাশে বনি কাপুরকে মনে হতো বেশ বয়স্ক। তাই স্বামীর স্বাস্থ্য ঠিক করতেই একবার উঠে পড়ে লেগে ছিলেন শ্রীদেবী। এক সাক্ষাৎকারে জাহ্নবী কাপুর জানান, তাঁর মা প্রতিদিন মর্নিং ওয়াকে যেতেন। চাইতেন যেন বনি কাপুরও সঙ্গ দেন। যাতে বনির শরীরে থাকা বার্তি মেদ ঝড়ে যায়। সেই মতোই প্রতিদিন বনি কাপুরের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেন।
বনি কাপুর এই বিষয় খুব একটা মাথা ঘামাতেন না। তাই রোজের কিছু না কিছু বাহানা বার করে নিতেন তিনি। একদিন শ্রীদেবীর রাগের সামনে হার মানেন তিনি। স্থির করেন যাবেন। মনে মনে শ্রীদেবীকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি জুতোর ফিতে বাঁধতে পারতেন না। শ্রীদেবী যথারীতি তা বেঁধে দেওয়ার জন্য বসেন। এরপর শুরু হয় বনি কাপুরের বায়না। একের পর এক আবদার, একটা ফিতে ছোট, একটা বড়, কেন সমান হচ্ছে না, এভাবে চলে যায় একটা ঘণ্টা। এরপর কোনও দিন শ্রীদেবী আর মর্নিং ওয়াকের কথা বলেননি বনি কাপুরকে।
তবে তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে বেশ সুখেই ছিলেন। একের পর এক ছবিও করে গিয়েছেন শ্রীদেবী বিয়ের পর। কেরিয়ার থেকে থাকেনি অভিনেত্রীর। তবে অনেককেই বলতে শোনা যায় যে তিনি নাকি ভাল ছিলেন না বনি কাপুরের সঙ্গে। বনি কাপুর নাকি একটা সময় শ্রীদেবীর গয়না বেঁচে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। যদিও তার সত্যতা নিয়ে শ্রী কোনওদিন মুখ খোলেননি।