করোনা – মহামারী, সবচেয়ে খারাপ ২০২০। যাই ধেয়ে আসুক বাঙালির জীবনে, বাঙালি কিন্তু রসগোল্লাকে (rasgulla) তার জীবন থেকে কিছুতেই দূরে সরাতে পারবে না। বাঙালির যাপনে ‘রসগোল্লা দিবস’টি তাই চিরকালই গুরুত্বপূর্ণ। খাতায় কলমে বাঙালী ১৪ নভেম্বর দিনটিকে ‘রসগোল্লা দিবস’ হিসেবে পালন করে। এবছর তো আবার কালীপুজোর দিনের সঙ্গে মিলে গেছে দিনটি। বাংলার আইকন ‘দেড়শো পেরোন খোকা’ রসগোল্লার দিনটির অন্য মাত্রা ছিল এবছরেও।
বাঙালির রসগোল্লা বিদেশে বহুসম্মানিত। তবে রসগোল্লা অতিথি আপ্যায়নের এক মুখ্য বিষয় হলেও তার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। রসগোল্লার জিআই তকমা কে পাবে? ওড়িশা না বাংলা? এ নিয়ে বহুদিন টক্কর চলে দু-রাজ্যের মধ্যে। শেষে বাংলা তার সাধের ‘রসগোলা’র তকমা জিতে নিল।
রসগোল্লা কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় আলাদা স্বাধের হয়, প্রতিযোগীতা চলে পাশের মিষ্টির দোকানেও। তবু বাংলার রসগোল্লা, এই লড়াইয়ে সব মিষ্টি দোকানীরা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আমলাবর্গ একজোট হয়েছিলেন।
১৮৬৮ সালে বাগবাজারে নবীন দাশ ছানার গোলক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে করতে সিদ্ধিলাভ করলেন, তারপরেই উৎপত্তি এই বিখ্যাত মিষ্টির। সে ইতিহাসে কোথাও নেই, সবটাই কল্পকথা।
এখন যদিও নানা ধরনের রসগোল্লা পাওয়া যায়, বেকড রসগোল্লা, ফ্লেবার্ড রসগোল্লা, স্টিমড রসগোল্লা। তাই ‘রসগোল্লা দিবস’কে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন বড়ো দোকানে নভেম্বর মাস জুড়ে চলছে রসগোল্লাকে ঘিরে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং নানা গল্পকথা, পোস্টার, রিফ্লেক্স।