‘আ ডট ইন দ্য স্কাই’। আপনি কি পরিচিত এই ব্যান্ডের সঙ্গে? যদি পরিচিতি না থাকে, তা হলে এ বার নিশ্চয়ই হবে। এই ব্যান্ডে কাজ করছেন বাংলার সন্তানরা। আর আপনার প্রিয় শহর কলকাতায় বসেই তৈরি করছেন নিত্য নতুন অরিজিনাল গান। সদ্য এই ব্যান্ডের মুকুটে যোগ হল নতুন পালক। গ্লোবাল অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২১-এর পুরস্কার পেল এই ব্যান্ড। অ্যানি আহমেদ, এই ব্যান্ডের অন্যতম TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, বেস্ট এমার্জিং মিউজিক ব্যান্ড হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছেন তাঁরা।
পাঁচ জন সদস্যকে নিয়ে তৈরি ‘আ ডট ইন দ্য স্কাই’। মাত্র পাঁচ বছর বয়স এই ব্যান্ডের। বেশ কিছু সম্মান ইতিমধ্যেই এসেছে। তবে গ্লোবাল অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ডস-এর মতো আন্তর্জাতিক সম্মান নিঃসন্দেহে খুশির মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। অ্যানি ছাড়াও সুদীপ্ত পাল, সৌত্রিক বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপায়ন চক্রবর্তী, শুভজিৎ গোস্বামীকে নিয়ে এই ব্যান্ড। অ্যানি জানালেন, এই ব্যান্ড আসলে সুদীপ্তর ব্রেন চাইল্ড। তিনি কি-বোর্ড বাজান, গান লেখেন, মিউজিক অ্যারেঞ্জার এবং প্রোগ্রামার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যান্ড তৈরির ভাবনা কী ভাবে এল? সে প্রসঙ্গে অ্যানি বললেন, “২০১৬-এ হিমাচলে পার্বতী উৎসবে গিয়ে ব্যান্ড তৈরির চিন্তা আসে। আমরা যে মিউজিক করি সেটা বাংলাতে প্রথম। যে সাউন্ড নিয়ে কাজ করছি, তা হল পোস্ট রক অ্যান্ড অ্যাম্বিয়েন্ট। এটা নিয়ে বাংলা ভাষায় কাজ করার চেষ্টা করছি। ভারতে এই নিয়ে কাজ কম হয়। পুনেতে সম্ভবত এই সাউন্ড নিয়ে কাজ করে, এমন একটা ব্যান্ড রয়েছে।” ‘আ ডট ইন দ্য স্কাই’-কে কিন্তু খুব বেশি শো করতে দেখেননি সাধারণ দর্শক। তার কারণ কী? অ্যানি ব্যখ্যা করলেন, “আমাদের ইন্ডিপেনডেন্ট ব্যান্ড। আর অরিজিনাল কনটেন্টের শো বাংলাতে কম। তবুও আমরা বেশ কিছু শো করেছি, করিও।”
‘আ ডট ইন দ্য স্কাই’- একেবারে অন্য ধারার একটি নাম। এমন নাম রাখার কী কারণ? অ্যানি শেয়ার করলেন, “আমরা মেটাল রক ব্যান্ড নই। হিন্দি, ইংলিশ সব ভাষারই গান আছে। যে সাউন্ডটা নিয়ে কাজ করতে শুরু করি আমরা, সেটা নিয়ে বিদেশে প্রচুর কাজ হয়। বাইরের দেশে পোস্ট রক অ্যাম্বিয়েন্টের চল অনেক বেশি। আমরা তাদের ফলো করি। ব্যান্ডের নামের মধ্যে এমন কিছু রাখতে চেয়েছিলাম, যাতে যারা এই সাউন্ডটা নিয়ে কাজ করেন, তারা বুঝতে পারবেন। আর ইউনিভার্স, স্কাই, এ সব নিয়ে আমার, সুদীপ্তর ভাললাগা বেশি। সেখান থেকে যদি কিছু একটা নাম রাখা যায়, সেই ভাবনা থেকেই এই নাম।”