৩০ বছরের অপেক্ষার অবসান। ছবির স্বাদ পেতে চলেছে জন্মু ও কাশ্মীর। না, এই প্রথম সিনেমাহল তৈরি নয়, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এখানে সিনেমা রমরমিয়ে চলত। তারপর থেকেই ঘটে ছন্দপতন। ১৯৮০ দশকের শেষ পর্যন্ত উপত্যকায় প্রায় এক ডজন স্বতন্ত্র সিনেমা হল চালু থাকার সত্ত্বেও বন্ধ হয় বড়পর্দার বিনোদন। হল মালিকদের কিছু সন্ত্রাস গোষ্ঠীর থেকে হুমকি পেয়ে সিনেমাহল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর ২০২২ সালে প্রথম পর্দায় ছবি দেখবে ভূস্বর্গ।
তবে এটি যে প্রথম উদ্যোগ এমনটা নয়। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে বেশকিছু প্রেক্ষাগৃহ পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে জঙ্গিরা ১৯৯৯ সালে সেপ্টেম্বরে লাল চকের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রিগাল সিনেমায় একটি মারাত্মক গ্রেনেড হামলা চালিয়ে এই ধরনের প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করে দেয়। তবে থেকেই সমস্তটাই ছিল স্থগিত। অবশেষে ২০২২ সালে সিনেমার স্বাদ পেতে চলেছে ভারতের তাজ। যা অধিকাংশ ছবির ক্ষেত্রেই শুটিং-এর প্রাণ কেন্দ্র, সেখানেই এবার পৌঁছে যাবে ছায়াছবি।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরে দুই মাল্টিপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন, একটি পুলওয়ামা এবং অপরটি শোপিয়ান জেলায় অবস্থিত। এদিন একটি সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, ডোডা, রাজৌরি, পুঞ্চ, কিশতওয়ার এবং রিয়াসির সিনেমা হলগুলিও শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে। সকলের উদ্দেশে এদিন লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, “আজ জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। পুলওয়ামা এবং শোপিয়ানের মাল্টিপ্লেক্সগুলি সিনেমা স্ক্রীনিং, বিনোদন প্রদান করবে।”
এদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ এই মুহূর্তে সাক্ষী থাকতে উপস্থিত হয়েছিলেন মাল্টিপ্লেক্স পরিদর্শনে। মঙ্গলবার শ্রীনগরে মাল্টিপ্লেক্স খুলছে এবং সেখানে আমির খানের লাল সিং চাড্ডার একটি স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং-এরও আয়োজন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই মাল্টিপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। এবার ভূস্বর্গেও বড়পর্দার হাত ধরে ছন্দে ফিরল সিনেমা।