আকষ্মিক প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কেকে (KK)। তাঁর মৃত্যুর পর প্রথম পিতৃ দিবস। সদ্য পিতাকে হারানো মেয়ে তামারার (Tamara)বাবাকে লেখা দীর্ঘ খোলা চিঠি। বাবা না থাকার ষন্ত্রণা যেমন রয়েছে চিঠিতে, তেমনই বাবার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আছে প্রতিশ্রুতি। সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া এই চিঠির সঙ্গে তামারা ভাগ করে নিয়েছেন কিছু পুরনো ছবিও। যেখানে বাবার সঙ্গে তাঁদের শৈশবে কাটানো কিছু আনন্দের স্মৃতিমেদুর ছবি পাওয়া গিয়েছে। তিনি, ভাই নকুল এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে কেকে-এর নানা মুহূর্তের ছবি যেখানে বাবার কোলে বসে কি-বোর্ড বাজানো থেকে পিঠে ওঠা-এমন নানা মুহূর্ত, সঙ্গে কেকে-র ভুবনভোলানো হাসি, যা দেখে অনুরাগীরাও হয়ে পড়েছেন নস্ট্যালজিক। অন্যদিকে মেয়ে বলছেন, “তোমায় প্রতিটা মুহূর্ত মনে পড়ে বাবা। তোমায় ছাড়া যে সবটা বড্ড অন্ধকার..”।
তামারা নিজেও একজন সংগীতশিল্পী এবং প্রযোজক, তিনি তাঁর বাবাকে আচমকা হারানোর কষ্টের নীরবতা ভেঙেছেন এবং তিনি চলে যাওয়ার পর থেকে তিনি যে ব্যথা সহ্য করছেন, সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে তাঁর লেখায়। “আমি তোমাকে হারানোর বেদনা ১০০ বার সহ্য করতাম, যদি তুমি আমার বাবা হিসাবে এক সেকেন্ডের জন্যও আবার ফিরে আসতে। বাবা তুমি ছাড়া জীবন অন্ধকার। তুমি ছিলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম মিষ্টি বাবা। তুমি বাড়িতে এসে শুয়ে শুয়ে অপেক্ষা করতে আমাদের আলিঙ্গন করার জন্য,” তামারার লেখায় বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো ছবির মতো যেন ভেসে উঠেছে। অনুরাগীরা এই পোস্টের মন্তব্য বক্সে ভালবাসার ইমোজিতে ভরিয়ে দিয়েছেন।
এই সব কিছুর সঙ্গে তিনি যে বিষয়টির অভাব সবথেকে বেশি পান তা হল, তাঁর তৈরি কোনও সুর কেমন হয়েছে তার প্রতিক্রিয়া। আর বাবা হাত ধরে থাকাকেও খুব মিস করেন তামারা। বাবা তাঁদের কতটা ভালভাসায় ভরিয়ে রাখতেন, সেই কথা বারবার উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। লম্বা চিঠি শেষ করেছেন এই অঙ্গীকার বদ্ধ হয়ে, তাঁরা কেকে-এর দেখানো পথেই এগিয়ে যাবেন। করবেন তাঁকে গর্বিত। “’সমগ্র মহাবিশ্বের সেরা বাবাকে পিতৃ দিবসের শুভেচ্ছা। তোমাকে ভালোবাসি, চিরদিন তোমাকে প্রতিদিন মিস করি, আমি জানি তুমি এখানে আমাদের সঙ্গেই আছো”, এই লিখে শেষ করেছেন প্রথম বাবা ছাড়া পিতৃ দিবস উদযাপন।
গত ৩১ মে কলকাতায় নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। এইভাবে অসময়ে কেকে-র চিরতরে চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারছে না পরিবার৷ পিতৃ দিবসে তাই বোধহয় চিঠির মধ্যে দিয়ে বাবাকেই খুঁজে নিতে চাইলেন তামারা। আরও এক বার আঁকড়ে ধরতে চাইলেন বাবার হাত।