কথায় বলে, সবচেয়ে ভাল ওষুধ হল হাসি। আগামী কাল আবার ‘এপ্রিল ফুলস ডে’। অতএব আপনার বন্ধুবান্ধব, পছন্দের মানুষকে হাসানোর জন্য তৈরি হয়ে যান। বড়রা তো নানা রকমের ফন্দিফিকির করেন অন্যদের হাসানোর জন্য। তবে এই ক্ষেত্রে মোটেই পিছিয়ে থাকা উচিত নয় বাচ্চাদের। তাই বাচ্চাদের জন্যও রইল বেশ কিছু ‘প্র্যাঙ্ক’ আইডিয়া।
১। ওরিও বিস্কুট খেতে ভালবাসে বাচ্চারা। বিস্কুটের ভিতরের সাদা ক্রিমের ফিলিংটা ফেলে দিয়ে সেখানে ভরে দেওয়া হোক টুথপেস্ট। তারপর খেতে দাও কোনও বন্ধুকে।
২। কোনও জায়গায় লুকিয়ে থেকে, তারপর আচমকা বেরিয়ে এসে বন্ধুকে চমকে দেওয়ার মজাই আলাদা। যে কেউ কিন্তু ভয় পেতে বাধ্য।
৩। যখন বন্ধু তোমার সঙ্গে কথা বলবে, তখন তুমিও মুখ নাড়িয়ে কথা বলো। কিন্তু আওয়াজ বা শব্দ করবে না। হঠাৎ করে শব্দ না পেয়ে চমকে যাবে তোমার বন্ধু।
৪। প্রিয় বন্ধুকে যেভাবেই হোক বিশ্বাস করাও যে তুমি দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছ। বন্ধু বিশ্বাস করে নিলে তাকে আসল কথা বলো। তারপর অবশ্য মারধর খেতেও পারো। তবে নিখাদ মজা হবে নিঃসন্দেহে।
৫। মা-বাবার সঙ্গেও মজা করতে পারো। তাঁরা যখন ঘুমাবেন, মুখ ভর্তি মেকআপ লাগিয়ে দাও। ব্যাস ঘুম থেকে উঠে নিজেদের দেখে চমকে যাবেন ওরা।
৬। বাড়ির সব ঘড়ির সময় পাল্টে দাও। সব সদস্যই বিভ্রান্তির শিকার হবেন।
৭। জুস রাখার পাত্রে জলের মধ্যে ফুড কালার মিশিয়ে দাও। ফ্রুট জুস ভেবে খেতে গেলেই সকলে বুঝে যাবে আসল ব্যাপারটা কী।
৮। বাড়ির সব ফটোফ্রেম উল্টো করে দাও। মা-বাবার চোখে পড়লে বকা জুটবে। তবে মজাও হবে।
৯। ডোনাটের বাক্সে অন্যকিছু ভরে বন্ধুকে উপহার দাও। বাক্স খুললেই চমকে যাবে বন্ধু।
১০। বাড়িতে মা-বাবা টিভি দেখতে দেয় না? এবার মা-বাবাকে মজার ছলে জব্দ করতে পারবে। রিমোটে আটকে দিন সেলোটেপ বা অন্য কোনও টেপ। এতে কিছুক্ষণের জন্য সেনসর কাজ করবে না। ফলে খানিকক্ষণের জন্য বাবা-মা টিভি দেখতে পারবেন না।