পরিচালকের বয়স মাত্র ২৭ বছর। নাম মহর্ষি তুহিন কাশ্যপ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে বানিয়েছিলেন একটি ছবি। ছবির দৈর্ঘ্য মাত্র ১৫ মিনিটের। হাই বাজেট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবু সেই ছবি এখন ‘টক অব দ্য নেশন’। যুবকের হাতে তৈরি ছবিটিই এখন সামিল অস্কারের দৌড়ে। শর্টফিল্ম (ফিকশন) বিভাগে ওই ছবিকে ভারত থেকে পাঠান হচ্ছে অ্যাকাদেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য। ছবির নাম ‘মোর ঘোড়ার দুরন্ত গতি’। ইংরেজিতে ‘দ্য হর্স ফ্রম হেভেন’। কী এই ছবির বিষয়বস্তু?
এই ছবি এক মানুষের গল্প বলে যে মনে করে এই দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুততম ঘোড়া রয়েছে তাঁরই কাছে। সেই ঘোড়া নিয়েই সে চায় বিশ্ব জয় করতে। কিন্তু এ কী! যাকে তিনি ঘোড়া বলে মনে করেন সে আদপে একটি গাধা। গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করার কাহিনী ও সামাজিক বার্তা নিয়েই ছবি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পরিচালক বলেছেন, “আমাদের কাছে এ এক স্বপ্নের মতো।” এই ছবির সঙ্গে নিবিড় ভাবে রয়েছে কলকাতা যোগ।
ছবির কলাকুশলীদের মধ্যে বেশিরভাগই কলকাতার এসআরএফটিআই-এর ছাত্র-ছাত্রী। ছবিটি আদপে ‘স্টুডেন্ট প্রজেক্ট’। বাইপাসের ধারে অবস্থিত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরেই হয়েছে ছবির বেশিরভাগ অংশের শুট। কিছু শুটিং অবশ্য হয়েছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। ছবির চিত্রনাট্যও লিখেছেন কাশ্যপ। আর এই ছবির হাত ধরেই অসমের ৬০০ বছরের পুরনো মৃতপ্রায় ‘আর্ট ফর্ম’ ওজাপালিকে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। ওজাপালি হল নেচে-গেয়ে, অঙ্গভঙ্গি করে গল্প বলার ধরন। নয়ন জ্যোতি নাথ, বংশানুক্রমিক ভাবে ওজাপালি শিল্পী এই ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ইতিমধ্যেই দেশে বেশ কিছু পুরস্কার জিতেছে এই ছবি। অস্কারের মঞ্চে কী হয়, আদৌ শেষ হাসি হাসে কিনা ছাত্রছাত্রীদের হাতে গড়া এই প্রজেক্ট, তা তো বলবে সময়।