সম্প্রতি স্বামী কেএল রাহুলের সঙ্গে ডিনার করতে মুম্বইয়ের একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন সুনীল শেট্টির কন্যা আথিয়া শেট্টি। সেখানে তাঁকে একটি হালকা নীল রঙের ডেনিম প্যান্ট এবং প্রিন্টেড শর্টে দেখা যায়। ২৩ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের খান্ডালায় সুনীল শেট্টির বিরাট বাংলো বাড়িতে বিয়ে করেন আথিয়া-রাহুল। তারপর থেকেই স্পটলাইটে এই দুই নবদম্পতি। বিয়ের এক সপ্তাহ কাটতে না- কাটতেই নববধূর সমস্ত চিহ্ন শরীর থেকে মুছে ফেলেছেন আথিয়া। সেই কারণেই তাঁকে তীব্র কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হচ্ছে নেটপাড়ায়। কেন তিনি পশ্চিমী পোশাকে স্বামীর সঙ্গে বেরিয়েছেন? কেন তাঁর বেশভূষায় ভারতীয়ত্ব নেই, তা নিয়ে নানাবিধ প্রশ্নবানে বিদ্ধ করা হয়েছে আথিয়াকে।
এই ছবি নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নিন্দুকেরা নানারকম কথা বলছেন। কেউ-কেউ বলছেন, “সারাক্ষণই তো ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে দেখা যায়। বিয়ের পর কি একটু ভারতীয় পোশাক করতে ইচ্ছে করে না। নববধূর মত থাকতে ইচ্ছে করে না। আসলে ইনি ভারতীয় সাজতে লজ্জাবোধ করেন।”
বিয়ের পর সালোঁতে গিয়েছিলেন আথিয়া। সেখানেও তাঁকে সাধারণ লুকিয়ে দেখা যায়। পাপারাৎজ়ির সঙ্গে ঠিক মতো কথা বলেননি বলেও কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে আথিয়াকে।
বলিউডের হাতেগোনা ছবিতে অভিনয় করেছেন আথিয়া। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর বিপরীতে ‘মোতিচুর চাকনাচুর’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তাঁকে লঞ্চ করেছিলেন সলমন খান।
২০১৯ সাল থেকে ভারতীয় ক্রিকেটার কেএল রাহুলের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন আথিয়া। গত বছর তাঁদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে অফিশিয়ালভাবে। এক কমন বন্ধুর মারফত রাহুলের সঙ্গে আলাপ হয় আথিয়ার। তারপরই প্রেম এবং বিয়ে। আথিয়া কবে বিয়ে করছেন, তাই নিয়ে অনেকদিন থেকেই জল্পনা চলছিল। ২৩ জানুয়ারি তাঁরা সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন।
আথিয়া-রাহুলের বিয়েতে নাকি মহামূল্যবান উপহার দিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, সলমন খান। এই খবর যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তাই একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করে সুনীল শেট্টি নিজেই জানিয়েছেন।
মেয়ের বিয়ের পর সুনীল শেট্টি সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন। করজোড়ে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে অনুরোধ করেন। জানান, শ্বশুরমশাই নয় বরং তিনি সন্তানদের বাবা হয়েই থাকতে চান।