সুন্দরবনঃ ইয়াসের(YAAS) ক্ষতচিহ্ণ তো মুছেও মুছে যাচ্ছেনা। মানবজীবন যখন বিপন্ন হয়, তখন মানুষই তো পাশে থাকে। এটাই তো মানবতা। প্রতিদিন এ শহর বা অন্য জেলার অন্য কোনও শহর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইয়াস বিধ্বস্তদের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন মানুষরা। আর এবার সুন্দরবনে(SUNDERBAN) মানুষের পাশে দাঁড়াল বাংলা(BENGALI) ব্যান্ড( BAND) পৃথিবী। আর তাঁদের প্রয়াসের সঙ্গে হাত মেলালো একদল চিকিৎসক। সুন্দরবনে পালন হল এক অন্য ডক্টর্স ডে(DOCTOR’S DAY)।
বাংলা ফিল্ম ‘কিশোরকুমার জুনিয়র’-এ জনপ্রিয় গান ‘চলো উড়ে যাই…’ যার কন্ঠে তিনি কৌশিক চক্রবর্তী। ফিল্মে এই গানটা প্রকাশিত হয় পরে। তার আগে কৌশিকের বাংলা ব্যান্ড ‘পৃথিবী’ তাঁদের অ্যালবাম ‘চ্যাপ্টার থ্রি’-তে এই গানটি প্রকাশিত হয়। পৃথিবী ব্যান্ডের এই গান তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল ব্যান্ডপ্রেমীদের কাছে। করোনার অতিমারিতে এখন বাংলা ব্যান্ডের শো বন্ধ। তবে বসে নেই ব্যান্ড পৃথিবী। রোজই নতুন নতুন মিউজিকের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন।এখন ব্যস্ত ‘রিইনকারনেশন’ প্রজেক্ট নিয়ে। আর তার মাঝেই পরিকল্পনা ইয়াস বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ানোর।
দরকার অর্থ। যখন তহবিল গড়ে ব্যান্ড পৃথিবী অর্থ সংগ্রহে ব্যস্ত, ঠিক তখনই তাঁদের পাশে দাঁড়াল ২০০৫ সালে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে পাশ করা একদল পড়ুয়া। যাঁরা বর্তমানে চিকিৎসক। সেই একদল চিকিৎসকরা দায়িত্ব নিলেন ১০০জনকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ। প্রাথমিকভাবে ব্যান্ডের লক্ষ্য ছিল, ১০০জন বিধ্বস্তকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার। বৃহস্পতিবার সুন্দরবনে তাঁরা খাবার পৌঁছলেন ৫০০জন মানুষের কাছে।আর এই উদ্যোগে সামিল সমাজের বিভিন্নস্তরের বিভিন্ন পেশার অন্য মানুষরাও। উদ্যোগে শুধু এই শহরের মানুষ নয়, সামিল বিদেশে থাকা অনেক বাঙালিও।
চিকিৎসকদের তরফ থেকে এই সাড়া পেয়ে অভিভূত বাংলা ব্যান্ড পৃথিবী। মানুষের পাশে থাকার জন্য সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের হাতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ের এক অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হল।
‘কত গড়ব, অহেতুক লড়ব..’। তাঁদের গানের মত এই লড়াই অহেতুক নয়। বাংলা ব্যান্ড পৃথিবী চায়, তাঁদের মতই গোটা পৃথিবী দাঁড়াক বিপন্ন মানুষের পাশে। যেখানে হাতে হাত মিলে লড়াই সমাজের ভিন্নধারার মানুষরা। তবেই তো এক অন্য বার্তা পৌঁছবে সমাজের কাছে।