Crow: কোন দেশের কাক পড়ে থাকা সিগারেট কুড়িয়ে নেওয়া শিখছে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 04, 2022 | 3:22 PM

ঝাড়ুদারই বটে! মানুষ যা পারে না তা কিন্তু পারে এই বন্য প্রাণীরা। রাস্তার যত্রতত্র পড়ে থাকা সিগারেটের টুকরো পুরিষ্কার করছে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কাক। কোথায়?

Follow Us

ময়লা আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে দূষণ মুক্ত রাখতে পারে বলে কাক ঝাড়ুদার পাখি হিসেবেই পরিচিত। বহুযুগ ধরে এই তকমা রয়েছে কাকের ঝুলিতে। কাকের এই পরিষ্কারের স্বভাবকে কাজে লাগিয়েছেন গবেষকরা। আমিষ, নিরামিষ, ময়লা আবর্জনা- কাকের কাছে কোনও কিছুই ফারাক পড়ে না। তাই ফ্রান্সে থিম পার্ক পরিষ্কার করার কাজে কাকের এই স্বভাবকেই কাজে লাগিয়েছেন গবেষকরা। বেশ কিছু কাককে প্রশিক্ষণ দেবার কাজও শুরু হয়েছে। ঝাড়ুদার পাখি কিন্তু বুদ্ধিতেও পিছিয়ে নেই। এবার কাকের এই বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়েছে সুইডেন। রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পেয়েছে কাকেরাই। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম লাগোয়া একটি শহরকে পরিষ্কার রাখতে নিয়োগ করা হয়েছে কাকেদের। Corvid Cleaning- নামের এই সংস্থাই কাকেদের নিয়োগ করেছে। আর ঠিকমতো ভাবে যদি কাজ শেষ করতে পারে তাহলে কিন্তু পুরস্কারেরও ব্যবস্থা রয়েছে ‘কাকেশ্বর কুচকুচুদের’ জন্য। এই পরিষ্কার রাখার কাজটিও কিন্তু বেশ অভিনব।

সিগারেট খাবার পর বেশিরভাগেরই অভ্যাস শেষ টুকরোটুকু যত্রতত্র ফেলে দেওয়া। পাশে যদি ডাস্টবিনও থাকে অনেকেই কিন্তু ভুল করেও সেখানে ফেলেন না। সেই দায়িত্বই পেয়েছে কাকেরা। সিগারেটের বাট এক একটা করে মুখে নিয়ে ভেন্ডিং মেশিনে জমা করাই তাদের দায়িত্ব। করভিড ক্লিনিং সংস্থার তরফে প্রতিষ্ঠাতা ক্রিশ্চিয়ান গুনথার ব্যানসেন জানিয়েছেন, ‘বন্য পাখিদের কাজ শেখানো সহজ এবং একে অন্যের থেকে কাজ শিখে নেওয়ার আগ্রহও কিন্তু রয়েছে এদের মধ্যে। একই সঙ্গে ভুল করে আবর্জনা হিসেবে সিগারেটের বাট খেয়ে নেবে এমন সম্ভাবনাও কিন্তু তাদের মধ্যে নেই’। সিগারেটের টুকরো খুঁজে নিয়ে যথাস্থানে ফেলাই তাদের কাজ। আর যখন রাস্তা পুরোপুরি পরিষ্কার করে ফেলে তখন তাদের সৌজন্য পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয় খাবার।

কিন্তু মনে হতেই পারে, কেন শুধু সিগারেটের বাট? অনেকেই মনে করেন সিগারেটের বাট বায়োগিগ্রেডেবল। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। সিগারেট কোনও ভাবেই মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে না। সিগারেটের এই অবশিষ্ট অংশেই প্লাস্টিক থাকে সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বজুড়ে ৬০০ কোটিরও বেশি মানুষ ধূমপান করেন। আর সেখান থেকে ৪ কোটি ৫০০ লক্ষ সিগারেট পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী।

বর্তমানে কাককে কাজে লাগিয়ে এই প্রচেষ্টা পাইলট প্রকল্প মাত্র। যদি সফল ভাবে এই প্রকল্পের রূপায়ণ হয় তাহলে আগামীদিনে বৃহত্তর ভাবে এই ভাবনাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে সুইডেনের। আর কাকেরা এই কাজ করতে পরলে পৌরসভার খরচও বাঁচবে ৭৫ শতাংশ। পরিবেশবিদদের মতে, ‘একটা পাখি যা করতে পারে, একজন মানুষ কিন্তু সেই ভাবনাটা ভাবতে পারেন না। আমাদের সবার দায়িত্ব পরিবেশের প্রতি আরও একটু দায়িত্বশীল হওয়া এবং নূন্যতম মানবতা বোধ যাতে থাকে সেদিকে নজর রাখা’। সুইডেনের পৌরসভার বর্জ্য কৌশল বিশারদ টমাস থার্নস্ট্রোমের কথায়, ‘আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে কাককে মাটি থেকে সিগারেটের বাট কুড়নো শেখাতে পারি কিন্তু এই বাট যে মাটিতে ফেলা ঠিক নয়, তা আর মানুষকে শেখাতে পারি না’।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা:


আরও পড়ুন: Saraswati Puja 2022: ‘শাড়ির কুঁচি যে ছেলে ঠিক করে ধরতে পারে, তার থেকে বড় হিরো সরস্বতী পুজোয় আর কেউ নেই’

ময়লা আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে দূষণ মুক্ত রাখতে পারে বলে কাক ঝাড়ুদার পাখি হিসেবেই পরিচিত। বহুযুগ ধরে এই তকমা রয়েছে কাকের ঝুলিতে। কাকের এই পরিষ্কারের স্বভাবকে কাজে লাগিয়েছেন গবেষকরা। আমিষ, নিরামিষ, ময়লা আবর্জনা- কাকের কাছে কোনও কিছুই ফারাক পড়ে না। তাই ফ্রান্সে থিম পার্ক পরিষ্কার করার কাজে কাকের এই স্বভাবকেই কাজে লাগিয়েছেন গবেষকরা। বেশ কিছু কাককে প্রশিক্ষণ দেবার কাজও শুরু হয়েছে। ঝাড়ুদার পাখি কিন্তু বুদ্ধিতেও পিছিয়ে নেই। এবার কাকের এই বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়েছে সুইডেন। রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পেয়েছে কাকেরাই। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম লাগোয়া একটি শহরকে পরিষ্কার রাখতে নিয়োগ করা হয়েছে কাকেদের। Corvid Cleaning- নামের এই সংস্থাই কাকেদের নিয়োগ করেছে। আর ঠিকমতো ভাবে যদি কাজ শেষ করতে পারে তাহলে কিন্তু পুরস্কারেরও ব্যবস্থা রয়েছে ‘কাকেশ্বর কুচকুচুদের’ জন্য। এই পরিষ্কার রাখার কাজটিও কিন্তু বেশ অভিনব।

সিগারেট খাবার পর বেশিরভাগেরই অভ্যাস শেষ টুকরোটুকু যত্রতত্র ফেলে দেওয়া। পাশে যদি ডাস্টবিনও থাকে অনেকেই কিন্তু ভুল করেও সেখানে ফেলেন না। সেই দায়িত্বই পেয়েছে কাকেরা। সিগারেটের বাট এক একটা করে মুখে নিয়ে ভেন্ডিং মেশিনে জমা করাই তাদের দায়িত্ব। করভিড ক্লিনিং সংস্থার তরফে প্রতিষ্ঠাতা ক্রিশ্চিয়ান গুনথার ব্যানসেন জানিয়েছেন, ‘বন্য পাখিদের কাজ শেখানো সহজ এবং একে অন্যের থেকে কাজ শিখে নেওয়ার আগ্রহও কিন্তু রয়েছে এদের মধ্যে। একই সঙ্গে ভুল করে আবর্জনা হিসেবে সিগারেটের বাট খেয়ে নেবে এমন সম্ভাবনাও কিন্তু তাদের মধ্যে নেই’। সিগারেটের টুকরো খুঁজে নিয়ে যথাস্থানে ফেলাই তাদের কাজ। আর যখন রাস্তা পুরোপুরি পরিষ্কার করে ফেলে তখন তাদের সৌজন্য পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয় খাবার।

কিন্তু মনে হতেই পারে, কেন শুধু সিগারেটের বাট? অনেকেই মনে করেন সিগারেটের বাট বায়োগিগ্রেডেবল। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। সিগারেট কোনও ভাবেই মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে না। সিগারেটের এই অবশিষ্ট অংশেই প্লাস্টিক থাকে সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বজুড়ে ৬০০ কোটিরও বেশি মানুষ ধূমপান করেন। আর সেখান থেকে ৪ কোটি ৫০০ লক্ষ সিগারেট পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী।

বর্তমানে কাককে কাজে লাগিয়ে এই প্রচেষ্টা পাইলট প্রকল্প মাত্র। যদি সফল ভাবে এই প্রকল্পের রূপায়ণ হয় তাহলে আগামীদিনে বৃহত্তর ভাবে এই ভাবনাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে সুইডেনের। আর কাকেরা এই কাজ করতে পরলে পৌরসভার খরচও বাঁচবে ৭৫ শতাংশ। পরিবেশবিদদের মতে, ‘একটা পাখি যা করতে পারে, একজন মানুষ কিন্তু সেই ভাবনাটা ভাবতে পারেন না। আমাদের সবার দায়িত্ব পরিবেশের প্রতি আরও একটু দায়িত্বশীল হওয়া এবং নূন্যতম মানবতা বোধ যাতে থাকে সেদিকে নজর রাখা’। সুইডেনের পৌরসভার বর্জ্য কৌশল বিশারদ টমাস থার্নস্ট্রোমের কথায়, ‘আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে কাককে মাটি থেকে সিগারেটের বাট কুড়নো শেখাতে পারি কিন্তু এই বাট যে মাটিতে ফেলা ঠিক নয়, তা আর মানুষকে শেখাতে পারি না’।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা:


আরও পড়ুন: Saraswati Puja 2022: ‘শাড়ির কুঁচি যে ছেলে ঠিক করে ধরতে পারে, তার থেকে বড় হিরো সরস্বতী পুজোয় আর কেউ নেই’

Next Article