গত বছরের ঘটনা। গায়ক হানি সিংয়ের স্ত্রী শালিনী তলোয়ার গুরুতর অভিযোগ তোলেন তাঁর স্বামী হানি সিংয়ের বিরুদ্ধে। হানি নাকি শারীরিক নির্যাতন করেন শালিনীকে। এই অভিযোগ দায়ের করে ডিভোর্সের মামলা করেছিলেন শালিনী। এক বছর ধরে সেই মামলা চলার পর শেষমেশ দিল্লি হাইকোর্ট হানি সিংকে ডিভোর্স দিয়েছেন। হানি এবং শালিনী আর স্বামী-স্ত্রী নন।
মিউচুয়াল ডিভোর্স হয়েছে হানি সিং এবং শালিনী তলোয়ারের। দুই তরফ থেকেই সমস্ত লেনদেন বোঝাপড়া চুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী কেউ যদি ডিভোর্স করে তাহলে তাঁকে ৬ থেকে ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে ডিভোর্স পেতে। তেমনটাই ঘটেছে হানি-শালিনীর ক্ষেত্রেও।
২০১১ সালে বিয়ে করেছিলেন হানি এবং শালিনী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের সেকশন ১৩বি আইনে ডিভোর্সের আর্জি জানিয়েছিলেন হানি এবং শালিনী দু’জনেই। ছ’মাস অপেক্ষা করা হয়। হানি সিংয়ের আইনজীবী ঈশান মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিভোর্স হয়েছে হানির। শালিনীর আইনজীবী বিবেক সিংও সেই একই কথা জানিয়েছেন।
২০২১ সালে দিল্লির তিস হাজারি আদালতে হানি সিংয়ের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা করেছিলেন শালিনী। যদিও সেই অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে ফুৎকারে উড়িয়েছিলেন হানি।