Farrukh Jaffar: প্রয়াত ‘গুলাবো সিতাবো’র ‘বেগম’ অভিনেত্রী ফারুখ জাফর

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Oct 17, 2021 | 6:31 AM

Farrukh Jaffar: ১৯৮১-এ মুজফ্ফর আলির ‘উমরাও জান’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর একে একে ‘স্বদেশ’, ‘পিপলি লাইভ’, ‘সুলতান’, ‘মেহেরুন্নিসা’র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক।

Farrukh Jaffar: প্রয়াত ‘গুলাবো সিতাবো’র ‘বেগম’ অভিনেত্রী ফারুখ জাফর
ফারুখ জাফর।

Follow Us

প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী ফারুখ জাফর। ‘গুলাবো সিতাবো’য় অমিতাভ বচ্চনের ‘বেগম’। ‘উমরাও জান’-এ রেখার ‘মা’। ‘সিক্রেট সুপারস্টার’-এ ‘বড়ি আপা’। এ হেন বিবিধ চরিত্রে ফারুখের অভিনয়ে মুগ্ধ ছিলেন দর্শক। শুক্রবার ৮৮ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় তাঁর।

গত কয়েকদিন ধরেই ফারুখের শরীর ভাল ছিল না। এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১৯৩৩-এ জৌনপুরে তাঁর জন্ম হয়। মাত্র ১৪ বছর বয়সে পেশায় সাংবাদিক তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী এসএম জাফরে বিয়ে করেন তিনি। বিবাহসূত্রে চলে যান লখনউ। সুজিত সরকার পরিচালিত ‘গুলাবো সিতাবো’ ছবিতে ফতিমা বেগমের চরিত্রে ফারুখের অভিনয় সাম্প্রতিক অতীতে মনে রাখার মতো কাজ।

১৯৮১-এ মুজফ্ফর আলির ‘উমরাও জান’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর একে একে ‘স্বদেশ’, ‘পিপলি লাইভ’, ‘সুলতান’, ‘মেহেরুন্নিসা’র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে ঘোষিকা হিসেবে ১৯৬৩ সালে কাজ শুরু করেন তিনি। স্বামী কর্মসূত্রে দিল্লিতে যাওয়ার ফলে তিনিও রাজধানীতে সংসার শুরু করেন। সেখানে এয়ার উর্দু সার্ভিসে যোগদান করেন। দিল্লিতেই ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে ইব্রাহিম আলকাজির কাছে অভিনয়ের ক্লাস করেন। পরে ফের জৌনপুরে ফিরেছিলেন তিনি। গত মার্চে ‘গুলাবো সিতাবো’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পান।

ফারুখের প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নামে ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা, স্ক্রিন রাইটার জুহি চতুর্বেদীর মতো বলি ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা ভার্চুয়ালি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ‘উমরাও জান’-এর পরিচালক মুজফ্ফর আলি বলেন, “আমার ছবিতে উনি শুধুমাত্র একটি চরিত্র ছিলেন না। আমাদের ছবির প্রোডাকশন টিমেরও সদস্য ছিলেন। উর্দু ভাষার উপর ওর দখল, ওর উচ্চারণ এতটাই গভীর ছিল, আমরা প্রতিদিন ওর থেকে শিখতাম। মজার মানুষ ছিলেন। ‘উমরাও জান’-এর শেষ দৃশ্যে যখন রেখার সঙ্গে ওর দেখা হচ্ছে, ওটা আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল ছিল।”

ফারুখের ছোট মেয়ে শাহিন আহমেদের কথায়, “মা নিজের জীবন আনন্দ করে বেঁচেছেন। বিশেষত জীবনের শেষ কয়েকটা বছর। সাইকেলে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন। আমার মনে আছে আলিবাবা নাটকে মর্জিনার ভূমিকায় অভিনয় করতেন। আমাদের নিয়ে যেতেন। গ্রিনরুমে তৈরি হওয়ার সময় কখনও দিলীপ কুমার, কখনও দেবানন্দের ডায়লগ বলতেন। ‘হাওয়া মে উড়তা যায়ে মেরা লাল দুপাট্টা’ পছন্দের গান ছিল। গাইতেন কখনও। মা আইসিইউতে থাকার সময়ও আমির খানের প্রোডাকশন থেকে একটি চরিত্রের জন্য আমাদের বলা হয়েছিল। কিন্তু মায়ের গল্প মার একান্ত নিজস্ব ছিল।” মেহেরু এবং শাহিন দুই মেয়েকে রেখে গেলেন ফারুখ।

Next Article