আপনি কি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়? যদি সক্রিয় হয়ে থাকেন তবে উপরে উল্লিখিত এই ছবি আপনার নিশ্চয়ই চোকে পড়েছে। ‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো নিজেকে গড়ে তুলতে গিয়ে ভুল চিকিৎসার শিকার তরুণী’– এ জাতীয় হেডলাইনও নিশ্চয়ই আপানার চোখে পড়েছে। আপনি দেখে আঁতকে উঠেছেন। কেউ কেউ আবার তাঁকে তুলনা করেছেন ‘জীবন্ত জম্বি’র সঙ্গেও। ২১ বছরের তরুণী,ইরানের সাহার তাবার আদপে এরকম দেখতেই নন। ‘ভেক’ ধরে থাকতেন তিনি। হয়েছিল হাজতবাসও। এবার প্রকাশ্যে এল তাঁর ‘আসল মুখ’।
প্লাস্টিক সার্জারি করেছিলেন সে কথা সত্য, কিন্তু যে ‘কদাকার’ রূপে তিনি নিজেকে সামনে এনেছিলেন তার নেপথ্যে ছিল সাহারের নিজস্ব এক ‘প্রতিবাদ’, জনপ্রিয় হওয়ার মরিয়া চেষ্টা। অ্যাক্টিভিস্ট মাসিহ আলিনেজাদ জানিয়েছেন, যখন তাঁর জেল হয় তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর, কী কী কারণে হাজতবাস হয়েছিল তাঁর? জানা যাচ্ছে ইরানের কঠোর ব্লাসোফেমি আইন (ধর্মীয় অনুশাসনের বিরোধিতা), হিংসায় প্ররোচনা, অন্যায় উপায়ে আয়, ও যুবকদের দুর্নীতিতে উৎসাহ প্রদানের মতো অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। দশ বছরের জেল হেফাজত হয় তাঁর। যদিও ১৪ মাসের মধ্যেই ছাড়া পান তিনি। সমাজকর্মী মাসিহা জানিয়েছেন, নিজেকে নিয়ে মজা করাই কাল হয়েছিল ওই তরুণীর। মেয়ের করা কাজের জন্য তাঁর মাকেও কাটাতে হয়েছে বিনিদ্র রাত। কেন নিজেকে সর্বসমক্ষে এভাবে উপস্থাপিত করেছিলেন তরুণী? কীভাবেই বা নিজেকে করে তুলেছিলেন জম্বি তুল্য?
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন সাহার। জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলতেই এই সহজে জনপ্রিয় হওয়ার কৌশল নিতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নাকের আকার পরিবর্তন করেছিলেন ঠিকই, করেছিলেন লিপজবও কিন্তু তাঁর ওই অদ্ভুতুড়ে লুকসের নেপথ্যে ছিল ফটোশপ ও মেকআপ। হালফিলে নেতিবাচক কাজ করে জনপ্রিয় হওয়ার ট্রেন্ড চলছে। এই ট্রেন্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেননি তরুণীও। কিন্তু তা যে শেষ হবে হাজতে তা কি তিনি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন?