সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতিতে ফেঁসেছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়। অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় নাম উঠেছে জ্যাকলিনের। এ ব্যাপারে ফাঁসার কারণে অভিনেত্রীকে মাঝেমধ্যেই আদালতের দারস্থ হতে হয়। সম্প্রতি দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ় কোর্টে হাজির হয়েছিলেন জ্যাকলিন। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, সুকেশ চন্দ্রশেখর তাঁর আবেগের সঙ্গে খেলেছে এবং তাঁর জীবন নরকে পরিণত করেছে। তিনি এও বলেছেন যে, সুকেশের সহকারী পিঙ্কি ইরানি নিজেকে তাঁর কাছে সরকারের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। সুকেশ নিজের পরিচয় দিয়েছিল সান টিভির মালিক এবং তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা তাঁর মাসি হিসেবে।
জ্যাকলিনের কথা অনুযায়ী, “সুকেশ আমাকে বলেছিল ও আমার মস্ত বড় ফ্যান এবং আমার দক্ষিণ ভারতের ছবিতেও অভিনয় করা উচিত। জানিয়েছিল, ও নাকি সান টিভির মালিক। ওর নাকি আসন্ন অনেক প্রজেক্ট রয়েছে। ও আমাকে মিথ্যা কথা বলে ঠকিয়েছে। আমাকে অন্য পথে চালনা করার চেষ্টা করেছে। ও আমার কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছে। আমার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।”
আদালাতে দাঁড়িয়ে এদিন জ্যাকলিন এও জানিয়েছেন, সুকেশের কারচুপির ব্যাপারে অনেক পরে জানতে পেরেছেন তিনি। সুকেশের আসল নামও জানতে পেরেছেন তাঁর অপরাধমূলক কর্মকণ্ড খতিয়ে দেখার পর। পিঙ্কি ইরানিও নাকি ঠকিয়েছে জ্যাকলিনকে। পরবর্তীকালে নিজের আসল পরিচয় জ্যাকলিনকে বলেছিল পিঙ্কি।
১৬ জানুয়ারি ইডির (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট) কাছে একটি নোটিস পাঠিয়েছিল পাটিয়ালা কোর্ট। সেটি জ্যাকলিনেরই করা একটি আর্জি। ২৭ জানুয়ারির পর অভিনেত্রী দুবাই যেতে চান, সেই জন্য অনুমতি চেয়েছেন তিনি। জ্যাকলিনের পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ জানুয়ারি।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন তার থেকে কোটি-কোটি টাকা মূল্যের উপহার গ্রহণ করেছেন জ্যাকলিন। তাঁদের একসঙ্গে তোলা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ার পরই ২০০ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতি মামলায় ফেঁসেছেন জ্যাকলিন। অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় তাঁর নাম ওঠার পর থেকে অনেক বড়-বড় বলিউড প্রজেক্ট হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। জ্য়াকলিনকে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে রোহিত শেট্টির ছবি ‘সার্কাস’-এ।