৮০ ও ৯০ দশকে বলিউডের রাশ ছিল তাঁর হাতেই। একদিনে সব চেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার রেকর্ড ছিল তাঁর কাছেই। সব গানই প্রায় হিট। তিনি আর কেউ নন, বাংলার ছেলে কুমার শানু। তবে এখন সময় বদলেছে। বদলেছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থাও। শানু-ক্যারিশ্মা নব্যপ্রজন্মের রিমেক-রিমিক্সের কাছে অনেকটাই ফিকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তা শুনে তাঁর ভক্তদের একটা প্রশ্ন, “তবে কি শানুর সঙ্গেও ঘটেছে এমনটা! অপমানিত হতে হয়েছে তাঁকেও?” এক সাক্ষাৎকারে তাঁর সাফ কথা, এখন কার গায়করা সবাঈ ভাল। কিন্তু তাঁদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাঁর কথায়, “আমাদের প্রজন্ম ছিল অনেক ভাগ্যবান। আমরা সব কিছু পেয়েছি। যদি এখনকার সঙ্গীত পরিচালকেরা ভারতীয় সঙ্গীতের উপর বেশি জোর দেয় পাশ্চাত্য সঙ্গীতের উপর কম জোর দিয়ে তবে তা সবার জন্যই ভাল।” এখানেই না থেমে তিনি আরও যোগ করেন, ” এখন তো অভিনেতারাই ঠিক করছে কে তাঁর জন্য প্লেব্যাক গাইবেন। এর থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়া উচিৎ।” যত দিন এগচ্ছে ততই ছবিতে সঙ্গীতের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। মনে করছেন শানু। তিনি আরও বলেন, “ছবি তৈরি করতে আত্মবিশ্বাস একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন ভাল মিউজিক তৈরির দরকার নেই। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে।
১৯৮৪ সালে বলিউডে ডেবিউ হয় তাঁর। যদিও তখন তিনি কুমার শানু হননি। আত্মপ্রকাশ করেছিলেন শানু ভট্টাচার্য হিসেবে। পরে যদিও মিউজিক কম্পোজার কল্যানজি-আনন্দজির পরামর্শ মেনে নিজের নামের পরিবর্তন করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশি ছবি’তিন কন্যা’তে গান গেয়ে নজরে আসে। আর বলিউডে পথ চলা ১৯৮৮ সালে। ছবির নাম ছিল ‘হিরো হীরালাল’। বহু হিট ছবিতে গলা দিয়েছেন তিনি। এঁদের মধ্যে রয়েছে, ‘আশিকি’, ‘সজন’, ‘দিওয়ানা’, ‘বাজিগর’সহ আরও বেশ কিছু।