মাহিরা খান, পাকিস্তানের এই অভিনেত্রী রাতারাতি ভারতের বুকে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন রইস ছবির জন্য। শাহরুখ খানের বিপরীতে কাজের সুযোগ পেয়ে রীতিমত চমকে গিয়েছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি যখন যখন এই ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন, ঠিক কতটা খুশি হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ”আমি বাড়িতে গিয়ে প্রথম খাবার টেবিলে সকলকে জানাই আমার কিছু কথা বলার আছে। সকলেই শুনবে বলে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এমন সময় আমি বলি আমি ভারত থেকে ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। যা শুনে অনেকেই বেশ বিচলিত হয়ে পড়েন। বাড়ি থেকে এত দূরে থাকার কী প্রয়োজন। আমাদের চিন্তা হবে। এরপরই আমি বলি আমি শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করতে চলেছি। শুনে আমার মা কেঁদে ফেলেন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, নাহ, তুমি মিথ্যে বলছো। এটা হতে পারে না। আমারও ঠিক তেমনই মনে হয়েছিল। আমি যখন প্রস্তাব পেয়েছিলাম, তখন আমাও দ্বিতীয়বার ফোন করে জানতে চেয়েছিলাম, সত্যি, আমার বিপরীতে শাহরুখ খান রয়েছেন? ”
কিন্তু তার কিছুদিনের মধ্যেই পাল্টে যায় সমস্ত সমীকরণ। ছবি হিট হতেই তা সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নেয়। মাহিরাও হয়ে যান রাতারাতি জনপ্রিয়। কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বাইপোলার ডিসওর্ডারে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তবে এই মানসিক সমস্যার মূল কারণই ছিল ভারতের বুকে পাকিস্তানের শিল্পীরা ব্যান হওয়া। এখনও চিকিৎসাধীন মাহিরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি ম্যানিয়্যাক ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন। মারাত্মক মুড সুইং হওয়া শুরু হয়ে যায়। কখনও প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে পড়তেন, কখনও আবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। নিজেকে ভীষণ একা মনে করা, আশাহত হয়ে পড়া। এনার্জি না পাওয়া প্রভৃতি। তবে এ সবকিছুই শুরু হয়, যখন ভারতের বুকে তাঁদের কাজ করা বন্ধ করার নির্দেশ আসে। ২০২৬ সালে উরিতে আক্রমণের পর ভারতের বুকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হন পাকিস্তানের স্টারেরা। তখন মাহিরার কাছে একাধিক কাজের প্রস্তাব।