বিহঙ্গী বিশ্বাস
ভালবাসায় শ্রাবণ ঘনায়, প্রেমের স্পর্শও কখনও হার মানে নিয়তির কাছে। ঐন্দ্রিলা শর্মা নেই। ২৪-এই থমকে গিয়েছে তাঁর জীবন। ২০১৫ থেকে শুরু হওয়া এক যুদ্ধে শেষে আজ তিনি শান্তির খোঁজে। পারমিতা সেনগুপ্ত– টলিউড সূত্রেই কাছাকাছি এসেছিলেন পারমিতা-ঐন্দ্রিলা। এরপর দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ, মেকআপ রুমে আড্ডা। এমনকি কেমোথেরাপির সময় যখন দলা দলা চুল উঠছিল মেয়েটার পারমিতাও হঠাৎ একদিন চুল কামিয়ে হাজির হয়েছিলেন বন্ধুর কাছে। রবিবার খবরটা যখন পান তখন তিনি কাজের জায়গায়। টিভিনাইন বাংলা ফোন করতেই ডুকরে উঠলেন তিনি। কথা বুঝে এল কান্নায়…
পারমিতার কথায়..
“কী হয়ে গেল এটা? এই তো কিছুদিন আগেই সব্যসাচীর ক্যাফে উদ্বোধন হল। ঐন্দ্রিলা ও আমি গেলাম। তখন ওর কী আনন্দ। গাড়ি কিনল মেয়েটা। আমায় ফোন করে বলল, ‘আর চিন্তা নেই, এবার গাড়ি এসে গিয়েছে আমাদের। যেখানে খুশি যেতে পারব।” মিষ্টি, এত এত প্ল্যানগুলো শুধু প্ল্যান থেকে গেল? আর হবে না কিচ্ছু? আমার নিজের কিছু শর্টফিল্ম বানানোর কথা ছিল। ওকে নিয়েই স্ক্রিপ্ট করা। ঐন্দ্রিলা কে করবে এখন ওগুলো? ওর যখন কেমো চলত তখন ভিডিয়ো কলে আমাদের কথা হত। কেমো নেওয়ার পরের দিন সকালে উঠে একদিন মাথায় হাত দিয়ে দেখল এক খাবলা চুল উঠে এসেছে। ভীষণ কাঁদছিল। আমিও ন্যাড়া চলে এসেছিলাম। এই পুজোতে পর্যন্ত আমরা বেরোলাম। আমি অসুস্থ ছিলাম। বাড়ি এসে প্রায় তুলে নিয়ে গেল। এত কথা দিয়ে কী করে চলে যেতে পারে ও? কেন করলি এরকম তুই?”
গলা ধরে এল পারমিতার। আর আসবে না বন্ধু। ওই হাসিমুখে আর জড়িয়ে ধরবে না গলা। আর হবে না কোনও প্ল্যান…মানুষটাই যে আর নেই।
বিহঙ্গী বিশ্বাস
ভালবাসায় শ্রাবণ ঘনায়, প্রেমের স্পর্শও কখনও হার মানে নিয়তির কাছে। ঐন্দ্রিলা শর্মা নেই। ২৪-এই থমকে গিয়েছে তাঁর জীবন। ২০১৫ থেকে শুরু হওয়া এক যুদ্ধে শেষে আজ তিনি শান্তির খোঁজে। পারমিতা সেনগুপ্ত– টলিউড সূত্রেই কাছাকাছি এসেছিলেন পারমিতা-ঐন্দ্রিলা। এরপর দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ, মেকআপ রুমে আড্ডা। এমনকি কেমোথেরাপির সময় যখন দলা দলা চুল উঠছিল মেয়েটার পারমিতাও হঠাৎ একদিন চুল কামিয়ে হাজির হয়েছিলেন বন্ধুর কাছে। রবিবার খবরটা যখন পান তখন তিনি কাজের জায়গায়। টিভিনাইন বাংলা ফোন করতেই ডুকরে উঠলেন তিনি। কথা বুঝে এল কান্নায়…
পারমিতার কথায়..
“কী হয়ে গেল এটা? এই তো কিছুদিন আগেই সব্যসাচীর ক্যাফে উদ্বোধন হল। ঐন্দ্রিলা ও আমি গেলাম। তখন ওর কী আনন্দ। গাড়ি কিনল মেয়েটা। আমায় ফোন করে বলল, ‘আর চিন্তা নেই, এবার গাড়ি এসে গিয়েছে আমাদের। যেখানে খুশি যেতে পারব।” মিষ্টি, এত এত প্ল্যানগুলো শুধু প্ল্যান থেকে গেল? আর হবে না কিচ্ছু? আমার নিজের কিছু শর্টফিল্ম বানানোর কথা ছিল। ওকে নিয়েই স্ক্রিপ্ট করা। ঐন্দ্রিলা কে করবে এখন ওগুলো? ওর যখন কেমো চলত তখন ভিডিয়ো কলে আমাদের কথা হত। কেমো নেওয়ার পরের দিন সকালে উঠে একদিন মাথায় হাত দিয়ে দেখল এক খাবলা চুল উঠে এসেছে। ভীষণ কাঁদছিল। আমিও ন্যাড়া চলে এসেছিলাম। এই পুজোতে পর্যন্ত আমরা বেরোলাম। আমি অসুস্থ ছিলাম। বাড়ি এসে প্রায় তুলে নিয়ে গেল। এত কথা দিয়ে কী করে চলে যেতে পারে ও? কেন করলি এরকম তুই?”
গলা ধরে এল পারমিতার। আর আসবে না বন্ধু। ওই হাসিমুখে আর জড়িয়ে ধরবে না গলা। আর হবে না কোনও প্ল্যান…মানুষটাই যে আর নেই।