কড়া ভাষায় সমালোচিত সুগন্ধী নির্মাতা সংস্থা। বিজ্ঞাপনে ধর্ষণকে প্রোমোট করার ফলে রোষের মুখে পড়তে হয় নির্মাতা সংস্থাকে। সরকার থেকে তা রাতারাতি ব্যান করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক কমেন্টে তোপের শিকার এই ব্র্যান্ড। বিতর্কের তিন দিন কেটে যাওয়ার পর মুখ খুলল বিজ্ঞাপন নির্মাতা সংস্থা। ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিতে দিল নিজেদের সাপেক্ষে যুক্তিও। গত কয়েকদিন ধরেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সুগন্ধীর দুই বিজ্ঞাপন। কেন এই ধরণের কুরুচিকর মানসিকতার পরিচয় দিল নির্মাতা সংস্থা সেই উত্তরই খুঁজে বেড়াচ্ছিল নেটিজ়েনরা। কী ছিল সেই দুই বিজ্ঞাপনে!
ঘরের মধ্যে একটি ছেলে-মেয়ে একান্তে, হঠাৎই দরজা খুলে ঢুকে পড়া ছেলেদের কুরুচিকর ইঙ্গিত। বিছানায় থাকা ছেলেটির প্রশ্ন করা হয় তিনি শর্ট নিয়েছেন কি না ! উত্তরে তিনি জানান হ্যাঁ। এরপরই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিটি এগিয়ে এসে বলে এবার আমার পালা। কথাটা শোনা মাত্রই ভয়ে গুঁটিয়ে যায় মেয়েটি, এরপর পাশ থেকে ছেলেটি শর্ট হাতে তুলে নেয়।
অপরটিতেও সেই একই ইঙ্গিত, শপিংমলে একাকি একটি মেয়েকে পেয়ে চারজন বলে আমরা চার, শর্ট একটা, মেয়েটি ভয়ে পেয়ে যায় ছেলেগুলোর চোখের ইঙ্গিত দেখে। তারপরই দেখা যায় তারা ব়্যাকে রাখা একটি সুগন্ধীর কথা বলছিল। আর এই দুটি বিজ্ঞাপন দেখা মাত্রই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেন সকলেই। কীভাবে একটি বিজ্ঞাপনের চিত্রনাট্যের অংশ হতে পারে ধর্ষণ! কড়া নিন্দার মুখে পড়তে হয় সংস্থাকে।
না, ধর্ষণকে কোনওভাবেই প্রোমোট করতে চায়নি তারা, এটা গ্রহণ করা হয়েছে ভুলভাবে। কেবল তাই নয়, পাশাপাশি আরও জানানো হয় সংস্থার তরফ থেকে, এটিকে পরীক্ষা করিয়ে তবেই সম্প্রচার করা হয়েছে। সেখানে কোনও আপত্তি মেলেনি বলেই তা চলছিল বিভিন্ন মিডিয়াতে। বিবৃতিতে স্পষ্টই উল্লেখ থাকে, ‘আমাদের দুই বিজ্ঞাপনকে ভিত্তি করে এই বিবৃতি। আমরা আপনাদের জানাতে চাই, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরিক্ষার পরই এই বিজ্ঞাপন সম্প্রচারিত হয়েছিল। আমরা কারুর ভাবাবেগে আঘাত হানতে চাইনি। মহিলাদের প্রতি অসম্মানও আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। যখনই নির্দেশ আসে ৪ জুন আমরা এই বিজ্ঞাপনকে বন্ধও করে দিয়েছিলাম।’