কেকে’কে নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা লক্ষ্য করে করেছিলেন এমন কিছু মন্তব্য যা ভালভাবে নেননি কেকে’র ভক্তরা। এর পরেই কেকে’র মৃত্যু। ঘটনাপ্রবাহে নেটিজেনদের চোখে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় হতে হয় রূপঙ্করকে। ট্রোলিং তো বটেই আসতে থাকে খুনের হুমকিও। এর পরেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন গায়কের স্ত্রী চৈতালী। টিভিনাইন বাংলা তরফে তাঁকে ফোন করা হলে জানা যায়, এক রিয়ালিটি শো’র মঞ্চে শুটিং চলাকালীনই সেখান থেকে বেরিয়ে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন চৈতালী। একই সঙ্গে আর্জি জানিয়েছেন নিরাপত্তারও।
ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিয়োতে রূপঙ্কর বলেছেন, “আজ (৩১.০৫.২০২২) ফেসবুকে ছিলাম আমি। কেকে শো করতে এসেছিলেন। সেটা নিয়ে খুব উত্তেজনা ছিল। ওঁর লাইভ পারফরম্যান্সের কিছু ভিডিয়ো আমি দেখছিলাম। দারুণ লাগল দেখে। উনি দারুণ গান করেন। কেকের ভিডিয়োগুলো দেখার পর মনে হল, আমাদের কলকাতা শহরে যে সমস্ত গায়ক-গায়িকারা কেকের লেভেলে নাম করেছেন (বলতে চাইছি জাতীয় স্তরে কেকের জায়গা), তাঁদের ভিডিয়ো থাকে লাইভ পারফরম্যান্সের। যেমন আমার থাকে, অনুপম রায়ের থাকে, সোমলতার থাকে, ইমন, রাঘব, মনোময়ের মতো গায়ক-গায়িকাদের থাকে সারা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। আমরা তো কেকের চেয়ে সকলেই ভাল গান করি। আমাদের নিয়ে আপনারা এত উত্তেজনা বোধ করেন না কেন বলুন তো। সেটা কী কারণে? কেকে, কেকে, কেকে, কেকে… কে… কেকে কে ভাই! যে কোনও কেকের চেয়ে আমরা ভাল। আমি যে কজন গায়কের নাম এই মুহূর্তে উচ্চারণ করলাম, তাঁরা প্রত্যেকেই মিস্টার কেকের চেয়ে ভাল গায়ক। আপনারা এত উত্তেজিত কেন মুম্বই নিয়ে? কতদিন মুম্বইয়ের পিছনে এভাবে ঘুরবেন? দক্ষিণ ভারতকে দেখুন, উড়িষ্যাকে দেখুন… বাঙালি হয়ে উঠুন ভাই। প্লিজ়।”
এর পরের ঘটনা সকলেরই জানা, মঙ্গলবার রাত্রে এক কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরতেই ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় গায়ক। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। আগামী কাল মুম্বইয়ে তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কেকে’র এই হঠাৎ মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে গোটা দেশ।