বছর বছর টিভির পর্দায় আসেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’রা। বাংলার প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে কে হবে দুর্গা, এ নিয়ে চলে সকলের মধ্যে চর্চা। চলে বিস্তর প্ল্যানিং। তবে আজও যার টানা টানা চোখে বুঁদ আপামর বাঙালি তিনি সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার প্রথম ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। ১৯৯৪ সালে মহালয়ায় কলকাতা দূরদর্শনে প্রথম দুর্গা হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তখন তিনি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। হঠাৎই করেই পান গুরুজি গোবিন্দন কুট্টির ফোন। এর পরেই ঘটে যায় এক ইতিহাস। ১৮ বছরের মেয়ের তেজ, দৃপ্তভাবে অবাক হয়ে যান সকলেই। ১৯৯৫ সালে ডাক পড়েছিল হেমা মালিনীর। কিন্তু তাঁকে আর বাঙালি আপন করতে পারল কই? ১৯৯৬ সাল থেকে আবারও সেই সংযুক্তাকেই ফিরিয়ে আনা হল টিভির পর্দায়, নেপথ্যে কারণ একটাই, ‘পাবলিক ডিম্যান্ড’। মা দুর্গা হয়ে ওঠার জন্য কম পরিশ্রম করতে হয়নি তাঁকে। শুটিংয়ের সময় খেতেন হবিষ্যি। লাঞ্চে খেতেন না স্টুডিয়োর খাবার। টিভিনাইন বাংলাকে বলেছিলেন, “মাটির তৈরি ৮টা হাত বেঁধে পারফর্ম করতাম। আমার তো প্রথম প্রথম অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। পরবর্তীকালে কুমোরটুলি থেকে শিল্পীদের নিয়ে আসা হয়। তাঁরা ফাইবারের হাত তৈরি করে দেন। কত রকমের চ্যালেঞ্জ ছিল।”
এরপর বহু বছর কেটে গিয়েছে। ভিএফএক্স এখন কামাল করে অনেকটাই। আগামীকাল মহালয়া। ভোর পাঁচটায় প্রথম সারির নায়িকারা হাজির হবেন টিভির পর্দায়। তবু বাঙালির মন কালও খুঁজে বেড়াবে তাঁকেই। ফেসবুক ভরে যাবে সংযুক্তার প্রশংসায়। তিনি যদিও বিদেশে। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। ইউটিউবে এখনকার মহালয়া তিনি আজও দেখেন। কালও দেখবেন হয়তো… হয়ে পড়বেন নস্টালজিক? হাতড়ে খুঁজবেন সেই সব ফেলে আসা স্মৃতি?