‘বীরভূমের বিটি লো,
বলনা কি সাধ মিটিলো
না পেলি আমাকে আর তোকেও আমি পেলাম না…’
শিলাজিৎ মজুমদারের এই গান একবারের জন্যও শোনেননি, এমন বাঙালি হয়তো নেই বললেই চলে। গানটির নাম ‘লাল মাটির সরাণে’। প্রায় কুড়ি বছর আগে সাগরিকা মিউজিল লেবেল থেকে নিজেই লিখে ও সুর দিয়ে এই গান রিলিজ করেছিলেন গায়ক। সেই গান জনপ্রিয়ও হয়েছিল বিস্তর সেই গান নিয়েই এবার অসাধু কাজ! অন্তত এমনটাই অভিযোগ করেছেন গায়ক। শুধু যে অভিযোগ করেছেন, এমনটা কিন্তু নয়, উঠেছেন গর্জেও। গায়কের বক্তব্য, কিছু অসাধু মানুষ তাঁর ওই গানটি প্রচলিত বলে দাবি করে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড করছে। সেই সব ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমি অবাক হয়ে গেলাম দেখে কেউ কেউ এই গান টা গেয়ে প্রচলিত বলে ছাপ মেরে পাবলিশ করছে নিজের চ্যানেল থেকে। গুরুদেবদের কাছে শেখা, ঝেঁপে দাও … তারপর ধরা পড়লে বল জানতাম না।” তবে এখনই সেই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে চাইছেন না তিনি। অপেক্ষা করছেন ওই সব ব্যক্তি শুভবুদ্ধি উদয়ের। শিলাজিৎ আরও লেখেন, “দেখি যদি ওঁদের শুভ বুদ্ধি কাজ করে, নইলে আমার শ্রোতারা যারা খুব ভাল করে জানেন এই গানটা আমার বাপের ও না, আমার নিজের,তারাই যা বলার বলবে।”
শিলাজিতের দাবি, এই ঘটনা যে তাঁর সঙ্গে প্রথম বার ঘটছে এমনটা কিন্তু আদপে নয়। তাঁর গান গাইতে আসার নেপথ্যে রয়েছে এই চুরিরই ঘটনা। তাঁর দাবি, আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে তিনি গান গাইতে আসেন, কারণ কোনও এক ব্যক্তি তাঁর গান নিজের গান বলে চালাতে চাইছিলেন। এর আগে শিলাজিৎ ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের তরজা দেখেছিল বাংলা। সৃজিত একটি ছবি তৈরি করেছিলেন। যে ছবির নাম ছিল ‘এক্স= প্রেম”। শিলাজিতের দাবি ছিল ‘এক্স= প্রেম’ এই কয়নেজটা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। দু’জনের তরজার জল গড়ায় বহুদূর। যদিও পরবর্তীতে শিলাজিতের সঙ্গে দেখা করে চলতে থাকা ঠাণ্ডা লড়াই য়ের নিষ্পত্তি ঘটিয়ে ফেলেন পরিচালক। তবে এই চুরির অভিযোগ আনার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন শিলাজিৎ। তিনি লেখেন, “হাজার চেষ্টা করেও যেমন বোঝাতে পারবে না x=প্রেম এই শব্দবন্ধ আমার মস্তিষ্ক প্রসূত,ঠিক তেমনি এই গান টা তে বাঙালি শ্রোতারা প্রচলিত ছাপ মারা টা মানবে না।” কোনও ভাবেই যাতে ইতিহাস বিকৃত না হয় সেটাই আর্জি তাঁর। কারণ গায়ক মনে করেন, “আজকাল ডাকাতরা বেশি বুদ্ধিমান ও বেশি চৌখস”।