গাঙ্গুবাই কাথিওয়াড়ি, বাস্তব গল্প অবলম্বণে তৈরি যৌনপল্লীর এই গল্প এক কথায় বলতে গেলে সকলের মন ছুঁয়েছিল। এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে কীভাবে যৌনপল্লীর রানি হয়ে উঠলেন, সেই গল্পে গাঁথা ছবি গাঙ্গুবাই। যখন কাছের মানুষকে বিশ্বাস করে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা একটি মেয়ে বিক্রি হয়ে যায়, তখন তাঁর ভেতরের যন্ত্রণা ঠিক কতটা, আঁচ পেয়েছিল ছবির দর্শকেরা। ছবির প্রথমেই তা স্পষ্ট। যেখানে আলিয়া পরিস্থিতির কাছে হার মেনে গিয়ে মুখে পাউডার মেখে সন্ধেবেলায় রাস্তায় নামে। ‘বাবু’ ডাকার কায়দাটা শিখিয়ে দিয়ে যায় তার সহকর্মীরা। যন্ত্রের মত সেভাবেই নিজের কাজ করে যাচ্ছিলেন আলিয়া।
এই দৃশ্য দর্শকের বুকে চাবুকের মত লাগে। এত বেদনাদায়ক এক দৃশ্যকে অস্ত্র করে ব্যবসা! সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পাকিস্তানের এক ক্যাফের বিজ্ঞাপন দেখে রে রে করে উঠল নেটিজ়েনরা। যেখানে স্পষ্ট দেখা গেল ছবির এই অংশের ভিডিয়ো। নিচে দোকানের খদ্দের আসার আবেদন সঙ্গে ডিসকাউন্ট। দেখা মাত্রই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হল বিজ্ঞাপন। একটা চায়ের দোকানে খদ্দের ডাকা আর এক যৌনকর্মীর ডাক কি এক হতে পারে! তাঁর আবেগ, যন্ত্রণার সঙ্গে কীভাবে একটা চায়ের দোকানের বিজ্ঞাপন মিলেমিশে একাকার হল সেই প্রশ্নই খুঁজছে এখন নেটদুনিয়া।
এই প্রোমোশন দেখা মাত্রই তা বেদনাদায়ক ও নিম্নরুচির তকমা পেল। করাচির এই ক্যাফের কাণ্ড দেখে বর্তমানে রেগে সকলেই। এই মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি এক কথায় নোংরা, যা মেনে নিতে নারাজ প্রায় সকলেই, বিতর্কে ভরে উঠল কমেন্টবক্স। আলিয়ার এই ভিডিয়ো শেয়ার করে ক্যাফের তরফ থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়- আজা না রাজা, কীসের অপেক্ষা!… ডাক এখানের সকল রাজাকেই, আসুন আর সোমবারের স্পেশাল ছাড় উপভোগ করুন।
কুমন্তব্যে গর্জে ওঠা নেটপাড়া প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, নোংরা মার্কেটিং, এই যন্ত্রণা দায়ক দৃশ্যকে কেউ বিজ্ঞাপন হিসেবে তুলে ধরে! এর উত্তরে আরও একটি কমেন্ট করতে দেখা যায় পাকিস্তানি ক্যাফেকে। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে- এত গভীরে গিয়ে কেন ভাবছেন, সিনেমা করলে আগ আর ক্যাফে করলে পাপ! মুহূর্তে এই বিজ্ঞাপনকে ব্যান করার আবেদন তুলল নেটপাড়া।