তাঁর মঞ্চের নাম ছিল কৃষ্ণ। পুরো নাম গাট্টামানেনি শিবা রামা কৃষ্ণা মূর্তি। মঙ্গলবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন দক্ষিণ ভারতের এই কিংবদন্তি অভিনেতা। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশবাবুর বাবা।
সময়টা স্বজন হারানোর মহেশবাবুর। বছরের শুরুতে মারা গিয়েছেন তাঁর দাদা রমেশ। মাস খানেকের মধ্যে মা ইন্দিরাও চলে যান। রবিবার রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা শুরু হয় তাঁর বাবা কৃষ্ণর। তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। অতরাতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পুত্রবধূ অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকর।
হাসপাতালে আসার পর আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণকে। প্রাথমিকভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তাঁকে তিনদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই সুযোগ আর দিলেন না কৃষ্ণ।
এ বছর পিতৃদিবসে এই পোস্টটি করেছিলেন অভিনেতা মহেশবাবু:
কৃষ্ণর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা জগৎ। ১৯৪৩ সালে জন্ম তাঁর। ৫০ বছর ধরে দক্ষিণের সিনেমা জগতে অভিনয় করেছেন তিনি। ৩৫০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ছেলে রমেশ ও স্ত্রী ইন্দিরাকে হারানোর পর মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন কৃষ্ণ। তাঁর পাঁচ সন্তান – রমেশবাবু, মহেশবাবু, পদ্মাবতী, মঞ্জুলা এবং প্রিয়দর্শিনী। সিনেমায় অবদানের পর ২০০৯ সালে পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছিলেন কৃষ্ণ।
কেবল তাই নয়, অল্প সময়ের জন্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মহেশ। কংগ্রেসের হয়ে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন ১৯৮০ সালে। রাজীব গান্ধীর হত্য়ার পর রাজনীতি ছেড়েছিলেন তিনি।