মহাকাব্যের মতো ছবি তৈরি করেন আমাদের ‘আরআরআর’ ছবির পরিচালক এসএস রাজামৌলী। তিনিই এক মাছিকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন আস্ত একটি ছবি। ভাবা যায়! এটাই রাজামৌলীর ছবির সৌন্দর্য। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে তৈরি করেছেন ‘আরআরআর’ ছবিটি। সেটাও তৈরি করেছেন মহাকাব্যিক আকারে।
মাঝেমধ্যেই বাস্তব এবং মাইথোলজির মধ্যে দুলতে থাকেন রাজামৌলী। সেটাই তিনি করেন তাঁর ছবিতে। তিনি একজন অসামান্য গল্পবলিয়ে। ‘শোলে’র মতো ছবিতে সে রকমই বিষয় আমরা দেখতে পেয়েছিলাম অনেক বছর আগে। ‘আরআরআর’ ছবির শুরুর দৃশ্যটা মনে করে দেখুন। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই রাজামৌলীর প্রতিভা সম্পর্কে সাম্যক ধারণা তৈরি করে নিয়েছিলেন। আমার মনে হয়ে অশান্তি বিষয়টিকেও কোরিওগ্রাফ করতে পারেন রাজামৌলী। একটা রাতের সিন ছিল। ২০টি রাতে লেগেছিল শেষ করতে। আমাকে যখন ছবির গল্প বলেছিলেন রাজামৌলী, বুঝেছিলাম দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর গল্প ছিল সেটি। প্রচুর ডিটেইলের কথা বলেছিলেন ধরে-ধরে। যে কোনও ছবির ক্ষেত্রেই সেটে আসার আগে নিজেকে প্রস্তুত করে আসেন রাজামৌলী। বুঝিয়ে দেন তিনি বড় কিছু উপহার দিতে চান দর্শকদের। তখন কোনও কিছুকেই সহজভাবে দেখেন না তিনি।
আমরা শুনেছিলাম, ‘আরআরআর’ ছবিটিতে নাকি গোটা দেশের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। আমার বিশ্বাস, ছবির আন্তর্জাতিক সাফল্যের পর বিদেশের অভিনেতারাও রাজামৌলীর ছবির অংশ হতে চাইবেন।
অভিনেতা মকরন্দ দেশপাণ্ডের বয়ানে